এপ্রিল ৩০, ২০২২, ১০:০১ পিএম
ঈদযাত্রায় বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে শনিবার গত ২৪ ঘন্টায় ৪২ হাজার ১৯৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এই সময়ে সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে এর আগে, একদিনে এত টাকার টোল আদায় হয়নি।
শনিবার বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, “এটি টোল আদায়ে সর্বোচ্চ রেকর্ড।”
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত বাস, ট্রাক, পিকআপভ্যান, মিনি ট্রাকসহ এসব যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব টোলপ্লাজায় যানবাহন পারাপার হয়েছে ২৫ হাজার ৭৪১টি। এতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০ টাকা। অপরদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম টোলপ্লাজায় ১৬ হাজার ৪১৮টি গাড়ি পারাপারে ১ কোটি ৪০ লাখ ৮ হাজার ৯৫০ টাকা টোল আদায় হয়।
এদিকে,ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেলেও স্বাভাবিক গতিতেই যান চলাচল করছে। তবে মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেন সুবিধা পেয়ে যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতে আসতে পারলেও এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্বপাড় পর্যন্ত দুই লেনের কারণে যানবাহনের গতি কমাতে বাধ্য হচ্ছে যানবাহনের চালকেরা।
অন্যদিকে, মহাসড়কের এলেঙ্গা হতে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব দুইলেন সড়কের চাপ কমাতে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্ত্বর থেকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওই পরিবহনগুলো গোলচত্ত্বর হতে ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়ক ব্যবহার করে ২০ কিলোমিটার ঘুরে মহাসড়কের এলেঙ্গা গিয়ে প্রবেশ করছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন গড়ে ২০-২১ হাজার যানবাহন পারাপার হয়। ঈদসহ উৎসবের ছুটিগুলোতে পরিবহনের সংখ্যা কয়েকগুন বেড়ে যায়। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক ২ লেন এবং অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজট ও ভোগান্তি হয়ে থাকে। কিন্তু এবার পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সেতু কর্তৃপক্ষের বিশেষ কয়েকটি উদ্যোগের কারণে এখন পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়নি বলে হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।