মার্চ ১৮, ২০২১, ০৯:৫১ পিএম
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ এসে পৌঁছায়। সেসময় তার স্ত্রী হাসনা জসীমউদ্দীন কফিনের সঙ্গে ছিলেন।
শুক্রবার হাইকোর্ট, দলীয় কার্যালয় এবং নোয়াখালীতে কয়েকটি জানাজার কর্মসূচি আছে বলে জানায় বিএনপি সূত্র। তবে সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার অনুমতি পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
তার পরিবার জানায়, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদের জানাজার জন্য অনুমতি চেয়েও তা পায়নি তার পরিবার। করোনার কারণ দেখিয়ে জানাজার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা ১ মিনিটে মওদুদের মরদেহ একটি ট্রলিতে করে বিমানবন্দরের বাইরে আনা হয়। এরপর তার মরদেহ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা।
সেসময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন-সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বস্তরের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে মওদুদ আহমদের মরদেহ। সকাল ১০টায় হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেওয়া হবে। সেখানে দলের নেতাকর্মীরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
এরপর জানাজা শেষে বেলা ১১টায় মরদেহ হেলিকপ্টারে করে নেওয়া হবে নোয়াখালীতে। দুপুর দেড়টায় নোয়াখালীর কবিরহাট ডিগ্রি কলেজ মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বিকেল ৪টায় বসুরহাট কোম্পানীগঞ্জ সরকারি মুজিব মহাবিদ্যালয় মাঠে এবং সাড়ে ৫টায় মরহুমের নিজ বাসভবনের সামনে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।