ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে বাঁশের তৈরি ঘরগুলো দুমড়ে-মুচড়ে যাচ্ছে । বাতাসের তীব্র গতির মুখে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বস্তাবন্দি করে মাথায় নিয়ে ছুটছে রোহিঙ্গারা। ঘূর্ণিঝড় মোখার তাণ্ডবে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দারা। সন্তানদের নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছোটাছুটি করছেন কেউ, কেউ আবার সাথে নিয়েছেন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। নিরাপত্তার কথা ভেবে আহাজারি করছেন অনেকে।
টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরতরা বলছেন, বাতাসের গতি এতই বেশি যে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা যাচ্ছে না, ঘরবাড়ি সব উড়িয়ে নিয়ে যাচ্ছে। জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরতরা। শুরুতে রাজি না হলেও বাতাসের গতি বাড়তে থাকলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের স্কুল, মসজিদ ও মাদ্রাসাসহ মজবুত সেন্টারগুলোর দিকে ছুটতে থাকেন বাসিন্দারা।
তবে অনেক রোহিঙ্গারা এখনো কোনো আশ্রয় পাননি এবং বেশিরভাগই খাবারের সংকটে ভুগছেন। তবে আগে থেকেই আশঙ্কা করা হয়েছিল ‘মোখা’র প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো।
ক্ষতি কমানোর লক্ষ্যে প্রচার-প্রচারণাসহ বিভিন্ন প্রস্তুতিমূলক কাজ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আগ্রহ ছিল কম।
রবিবার দুপুর ১টার দিকে ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূল অতিক্রম শুরু করার পর প্রাথমিক আঘাতে সেন্টমার্টিনের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর গাছপালা, বাড়িঘর ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়। এদিকে বেলা ১টা থেকেই ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব বাড়তে শুরু করে টেকনাফের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে পুরা টেকনাফ উপজেলায়।
বাংলাদেশের চেয়ে আরও বেশি শক্তিশালিভাবে ২২০ কিলোমিটার গতিবেগে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিটওয়ে উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় মোখা।