বিজয় দিবসের কর্মসূচি পালনকালে বগুড়ার নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। এসময় অন্তত ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ওই সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলই বিজয় দিবসে উপজেলা প্রশাসনের কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ দ্যা রিপোর্ট ডট লাইভকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও থানা সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে নন্দীগ্রাম উপজেলা শাখা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে দলীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। একই সময়ে বগুড়া-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে যান। শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পণের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় শ্লোগান দিলে সেখানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। বিএনপির নেতাকর্মীরা তড়িঘড়ি করে শ্রদ্ধাঞ্জলী শেষ করে বাসস্ট্যান্ডে ফিরে আসেন। বিএনপি নেতাকর্মীরা একটি হোটেলে বসে নাস্তা করছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতে আসেন এবং দলীয় শ্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় হোটেলে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীরাও দলীয় শ্লোগান দিতে শুরু করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায় তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এসময় কমপক্ষে ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, “শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার পর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।” বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলেও তিনি জানান।