নভেম্বর ১৮, ২০২৪, ১১:৫৫ এএম
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয় বছর আগে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো তা তুলে নেওয়া হয়েছে। গত ১৩ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সোমবার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
এই সিদ্ধান্তের ফলে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আর কোনো বাধা থাকছে না। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা নিতে পারবেন। পাকিস্তানের সঙ্গে শিক্ষা, সংস্কৃতিসহ নানা সহযোগিতা বিনিময়ও করতে পারবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
পাকিস্তানের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপনের প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) সায়মা হক বিদিশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “২০১৫ সালে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা হয়েছিল। কিন্তু অনেকেই স্কলারশিপ নিয়ে কিংবা কনফারেন্সে যোগ দিতে সেখানে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছিল না।
“আমরা যেহেতু একটি একাডেমিক প্রতিষ্ঠান, সব দেশের সাথেই আমাদের স্বাভাবিক সম্পর্ক আছে। সেটা বিবেচনা করেই আমরা সভায় আলোচনা করে তাদের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
২০১৫ সালের ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এক জরুরি সিন্ডিকেট ডেকে পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্নের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
ওই বছরের ২২ নভেম্বর বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী বদর প্রধান আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরের পর `উদ্বেগ` প্রকাশ করে বিবৃতি দেয় পাকিস্তান। এরপর ঢাকায় পাকিস্তানি হাই কমিশনারকে ডেকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে `কড়া প্রতিবাদ` জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের সঙ্গে কখনো কথা হয়নি, অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর: ড. ইউনূস
এর এক সপ্তাহের মধ্যে পাকিস্তানও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনারকে ডেকে একাত্তরে গণহত্যার দায় অস্বীকার করে।
পরে ১৪ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত জানিয়ে অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক বলেছিলেন, “বুদ্ধিজীবীদের হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত, ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যার সঙ্গে যারা জড়িত-তাদের দেশ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র পাকিস্তান। সেই পাকিস্তান যখন বলে একাত্তরে কোনো গণহত্যা ঘটেনি এবং কোনো গণহত্যার সঙ্গে পাকিস্তানের সেনাসদস্যরা জড়িত নয়-তখন আমরা বুঝতে পারি যে, একাত্তরে যারা গণহত্যা চালিয়েছিল এদেশে তারা দ্বিতীয় বার গণহত্যা চালাচ্ছে।”