ভারী বৃষ্টিতে কক্সবাজারে পাহাড়ধসের ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সদরের ঝিলংজায় মা-শিশুসহ তিনজন ও উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত ২টার দিকে ঝিলংজার ২নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ ডিককুলে এলাকায় একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- দক্ষিণ ডিককুলের মিজানুর রহমানের স্ত্রী আঁখি মনি এবং তার দুই শিশুকন্যা মিহা জান্নাত নাঈমা ও লতিফা ইসলাম।
স্বজনরা জানায়, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে ভারী বৃষ্টি চলাকালীন মিজানের বাড়ির দিক থেকে পাহাড়ধসের বিকট শব্দ শোনা যায়। পরে সেখানে গিয়ে দেখেন সপরিবারে মাটিচাপা পড়েছে মিজান। তাৎক্ষণিকভাবে মিজানকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। পরে দমকল বাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে স্ত্রী ও দুই শিশুকন্যার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তারা আরও জানায়, মিজানের বাড়িটি পাহাড়ের পাদদেশে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টিতে মাটি নরম হয়ে যায়। পরে মধ্যরাতে ওপর থেকে পাহাড়ধসে তার বাড়িতে পড়ে।
এদিকে কক্সবাজার ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদৌজা নয়ন জানিয়েছেন, ভারী বর্ষণে উখিয়ার ১৪ নম্বর হাকিম পাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে তিনটি ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। স্বেচ্ছাসেবকরা বিধ্বস্ত ঘরবাড়িতে উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান বলেন, “কক্সবাজারে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি মৌসুমে একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড। ভারী বৃষ্টিতে জেলার অনেক জায়গায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।”