ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫, ১০:৩৫ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
গাজীপুরের শ্রীপুরে মাকে মারধরের অভিযোগে মাদকাসক্ত এক যুবককে কোমর পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখার ঘটনা ঘটেছে। আজ শনিবার দুপুরে জেলার শ্রীপুর উপজেলার টেপিরবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত যুবকের নাম খলিল (৩২)। তিনি ওই গ্রামের নুর উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র, স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খলিল আগে এলাকায় মুদির দোকান চালাতেন। হঠাৎ ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সংসারে অভাব দেখা দেয়। এরই মধ্যে তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যান। এসব কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে তিনি মাদকে আসক্ত হয়ে পড়েন।
নেশার টাকার জন্য খলিল প্রায়ই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন। শনিবার সকালে তিনি মায়ের কাছে দুই হাজার টাকা দাবি করেন। এ সময় মা খোদেজা বেগম টাকা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষিপ্ত হয়ে খলিল মাকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়ে মারেন। এতে খোদেজা বেগম আহত হন।
ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। স্থানীয়রা প্রথমে খলিলকে বাড়ির পাশে একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে মায়ের কাছে ক্ষমা চাইতে বলা হলে তিনি আরও উত্তেজিত হয়ে পড়েন।
এরপর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ছাতিরবাজার–টেপিরবাড়ী সড়কের পাশে মাটি খুঁড়ে খলিলকে কোমর পর্যন্ত পুঁতে রাখে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, এর আগেও একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ ও মুচলেকা দেওয়া হলেও খলিলের আচরণে কোনো পরিবর্তন আসেনি। এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ বলেন, বিষয়টি জেনেছি। কাউকে মাটিতে পুঁতে শাস্তি দেওয়া আইনসম্মত নয়। ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।