মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম

মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক জোরদারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান বলেছেন, বিশ্বাস, পারস্পরিক সম্মান ও অভিন্ন আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে দুই দেশের বন্ধুত্ব দীর্ঘ সময় ধরে মজবুত হয়েছে এবং এটি আরও গভীর ও বিস্তৃত হচ্ছে।

তিনি জানান, মালয়েশিয়া বাংলাদেশে পর্যটন, সংস্কৃতি ও জনগণের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

শনিবার রাজধানীর এক হোটেলে মালয়েশিয়া ট্যুরিজম ফেয়ার উপলক্ষে আয়োজিত গালা ডিনারে তিনি এসব কথা বলেন। হাইকমিশনার বলেন, গত কয়েক দশকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক বিকশিত হয়েছে। নিয়মিত উচ্চপর্যায়ের যোগাযোগের মাধ্যমে এই অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হচ্ছে।

শুহাদা ওসমান আরও বলেন, মালয়েশিয়া আগামী বছরগুলোতে আরও বেশি বাংলাদেশি পর্যটককে স্বাগত জানাতে চায়। পর্যটন হলো এমন এক সেতুবন্ধন, যা খাবার, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমে দুই সমাজকে কাছে নিয়ে আসে। তিনি ‘ফেস্টিভ্যাল মালয়েশিয়া’ উদযাপনকে মালয়েশিয়ার বহুসাংস্কৃতিক ঐক্যের রঙ, স্বাদ ও ছন্দের প্রতিফলন হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, সাংস্কৃতিক বিনিময় দুই দেশের উষ্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহাম্মদ শুহাদা ওসমান মালয়েশিয়া ট্যুরিজম ফেয়ার উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখেন। ছবি: সংগৃহীত

হাইকমিশনার সাম্প্রতিক উচ্চপর্যায়ের সফরের কথাও স্মরণ করেন, যার মধ্যে মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফর এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার কুয়ালালামপুর সফর অন্তর্ভুক্ত। তিনি জানান, এসব সফর পর্যটন, বিনিয়োগ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের ক্ষেত্রে দুই সরকারের অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করেছে।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রতি বিশ্বের অন্যতম সংযুক্ত বিমানবন্দর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে, যা দেশটিকে ভ্রমণ, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।    

হাইকমিশনার বাংলাদেশি নাগরিকদের শুধুমাত্র সরকারি ই-ভিসা পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করার আহ্বান জানান। তিনি সতর্ক করে বলেন, তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে আবেদন করলে তথ্যবিভ্রাট ও জটিলতার সঙ্গে এমনকি ব্ল্যাকলিস্ট হওয়ার ঝুঁকিও থাকতে পারে। প্রয়োজনে হাইকমিশন ভ্রমণকারীদের সহায়তা করবে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, বিভিন্ন দূতাবাসের কূটনীতিক, পর্যটন খাতের প্রতিনিধিসহ অন্যান্য অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। এই মেলায় মোট ২২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে, যার মধ্যে বিমান সংস্থা, ট্যুর অপারেটর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী রয়েছে।

প্রচারণার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘মালয়েশিয়া ট্রুলি এশিয়া - ভিজিট মালয়েশিয়া ২০২৬’, যার লক্ষ্য ২০২৬ সালে ৩ লাখ বাংলাদেশি পর্যটককে আকর্ষণ করা এবং দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ক আরও জোরদার করা।

Link copied!