ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
রাজধানীর সেগুন বাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনের সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম নতুন এই জোটের ঘোষণা দেন। ছবি: এনসিপির সৌজন্যে
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক জোট ‘গণতান্ত্রিক সংস্কার জোট’ ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জোটের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম।
সংবাদ সম্মেলনে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আজ আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেছি। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অঙ্গীকার ও জনগণের প্রত্যাশার ভিত্তিতে দেশকে নতুন রাজনৈতিক দিশা দিতে আমরা প্রাথমিকভাবে তিনটি দল হাত মিলিয়েছি। পুরোনো রাজনীতি দিয়ে ফ্যাসিবাদ দমন করা সম্ভব নয়, নতুনদের নতুন ভাষা ও নতুন চ্যালেঞ্জ দরকার।”

তিনি আরও বলেন, “সিটের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন দলের অনেককেই নানা জোটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যেসব অফার আসছে, আমরা সাদরে তা প্রত্যাখ্যান করি। আমরা ঐকবদ্ধ থাকবো। ঘোষিত জোট শুধুমাত্র নির্বাচনী জোট নয়, এটি একটি রাজনৈতিক জোট। এটি জাতীয় মর্যাদা, অর্থনৈতিক মুক্তি এবং গণতান্ত্রিক সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ করবে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একসঙ্গেই একই মার্কায় জোটবদ্ধ নির্বাচন করবে।”
এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “আজকের ঘোষণার পেছনে দীর্ঘ দিনের প্রস্তুতি এবং প্রচেষ্টা রয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে তিনটি দল হাতে হাত মিলিয়ে এই যাত্রা শুরু করেছি। আমরা নির্বাচনের পরও সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য কাজ চালিয়ে যাব।”
রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ুম বলেন, “আমরা তিনটি দল নিয়ে যাত্রা শুরু করেছি, তবে মনে করি না যে শুধুমাত্র এই তিনটি দলই পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করে। নতুন দল ও সংগঠন ক্রমান্বয়ে যুক্ত হবে।”
জোটের ঘোষণা অনুযায়ী, এটি দেশের পুরনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদলাতে, অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক সংস্কার জোরদার করতে এবং নতুন প্রজন্মের রাজনৈতিক শক্তিকে নেতৃত্ব দিতে কাজ করবে।