আগস্ট ১৮, ২০২৩, ১০:৩৯ এএম
কেজি ও লিটারপ্রতি ৫ টাকা কমানোর পরও বাজারে নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না সয়াবিন তেল ও চিনি । অন্যদিকে, বাজার নিয়ন্ত্রণে র্যাবের অভিযান চালানোর পর দাম কিছুটা কমলেও এলাকা বিশেষ এখনও চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম। এছাড়া, হলুদ ও রসুনের দামও বেড়েছে। শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শনির আখড়া, কোনাপাড়াসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
গত রবিবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে খোলা সয়াবিন তেল ১৫৪ টাকা, বোতলজাত ১৭৪ টাকা এবং ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ২৩ টাকা কমিয়ে ৮৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের আমদানি মূল্য কমে যাওয়ায় নতুন দাম নির্ধারণ করে অ্যাসোসিয়েশন।
অন্যদিকে, কেজিতে ৫ টাকা কমিয়ে খোলা চিনির দাম ১৩০ ও প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন।
তবে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দো যায় ভিন্ন চিত্র। যাত্রাবাড়ীরে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি খোলা চিনি বিক্রি হয়েছে ১৩৫-১৪০ টাকা। বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ১৭৫-১৭৮ টাকা করে। এক্ষেত্রে খোলা চিনি কেজিপ্রতি সর্বোচ্চ ১০ টাকা ও প্রতিলিটার সয়াবিন তেলে ১-৪ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
গত সোমবার ডিম উৎপাদনকারী, এজেন্ট, ডিলার ও ডিম ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান জানিয়েছিলেন ভোক্তা পর্যায়ে ডিমের দাম ১২ টাকার বেশি রাখা যাবে না। এই দামের বেশি রাখা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তবে খুচরা বাজারে পিস প্রতি ডিম ১২ টাকায় বিক্রি হতে এখনও দেখা যাচ্ছে না। বেশিরভাগ খুচরা দোকানগুলোতে পিস প্রতি ১৪ টাকা বা ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেক্ষেত্রে এক হালি ডিমের পড়ছে ৫৬-৬০ টাকা। অথচ দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল হালিপ্রতি ৪৮ টাকা।
এদিকে, সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে হলুদ, রসুন ও আদার দাম। পেঁয়াজের বাজারও চড়া। শুক্রবার খুচরা বাজারে কেজি প্রতি রসুন বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৪০ টাকায়। অথচ ৭দিন আগেও কেজিপ্রতি রসুন বিক্রি হয় ২১৫-২২০ টাকায়।
একই অবস্থা হলুদের দামও। গত সপ্তাহের তুলনায় ২০-৪০ টাকা বেড়ে হলুদ কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৩৫ টাকায়। দেশি হলুদ এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ টাকা কেজি দরে। আর আমদানী হলুদ ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে কেজি প্রতি ২৫০ টাকা। তবে পেঁয়াজের বাজার গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, আমদানি করা পেঁয়াজ ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।