সেপ্টেম্বর ২, ২০২৩, ১০:০৪ এএম
বহু অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আজ চালু হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম দ্রুতগতির উড়ালসড়ক ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকালে আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্য মেলার মাঠে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন ও মোনাজাতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সেখানে সুধী সমাবেশ অংশ নেবেন তিনি। একদিন পর রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) থেকে সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে এক্সপ্রেসওয়েটি।
দ্রুতগতির এই উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য ১৯.৭৩ কিলোমিটার। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে কাওলা থেকে রেললাইন ধরে তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কাছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালীতে গিয়ে শেষ হবে এই উড়ালসড়ক। আজ শনিবার কাওলা থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত অংশে চলাচল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পুরো উড়ালসড়কে ৩১টি স্থান দিয়ে যানবাহন ওঠানামা (র্যাম্প) করার ব্যবস্থা থাকছে। র্যাম্পসহ উড়ালসড়কের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬.৭৩ কিলোমিটার। উড়ালসড়কে ১১টি টোল প্লাজা থাকছে। পুরো পথ চালু হলে তা যানবাহনে পাড়ি দিতে ২০ মিনিট লাগবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কাওলা থেকে তেজগাঁও অংশ পাড়ি দিতে লাগবে ১২ মিনিট।
আজ বিকেল চারটায় আগারগাঁওয়ে পুরোনো বাণিজ্য মেলা মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন ও মোনাজাতে অংশ নেবেন। এরপর সেখানে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকার এই প্রকল্পের পুরো কাজ শেষ হওয়া সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২০২৪ সাল। পিপিপি অর্থায়নে চলমান এই প্রকল্পের ৭৩ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে ইতালি ও চায়নার ৩টি প্রতিষ্ঠান যা আগামী ২৫ বছরে তারা তুলে নেবে। এছাড়া বাকি ২৭ শতাংশ বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানকে ভিজিএফ পদ্ধতিতে পরিশোধ করবে বাংলাদেশ সরকার।