সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩, ১১:০৯ এএম
তিন মাস নিষেধাজ্ঞার পর সুন্দরবনের দ্বার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বনজীবী ও দর্শনার্থীরা সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারছেন। সকাল থেকে সাতক্ষীরার সুন্দরবন উপকূলের জেলে ও সুন্দরবনের পর্যটন সংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটরদের আনাগোনা দেখা গেছে।
এর আগে, বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়াতে গত ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বন্ধ থাকে সুন্দরবনে মাছ শিকার ও পর্যটকবাহী পরিবহণ এবং ভ্রমণ।
বনবিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রজনন মৌসুমে দুই লাখ ৪৩ হাজার হেক্টর আয়তনের বনটির ৪২০টি নদী-খালে মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এতে ইলিশসহ ৪৭৫ প্রজাতির মাছের প্রজনন নির্বিঘ্ন হয়। তবে, এ সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়ে মোংলার বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল প্রায় ১০ হাজার জেলে পরিবার। পাশাপাশি অলস সময় কাটার ট্যুর অপারেটররাও।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, প্রতিবছর সুন্দরবনের প্রজনন মৌসুমে তিন মাস পর্যটক ও বনজীবীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
এ সময় বন কোলাহলমুক্ত থাকায় বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজাতি অবাধে চলাফেরা ও নির্বিঘ্নে প্রজনন করতে পেরেছে। ফলে সুন্দরবন এই তিন মাসে প্রাণ ফিরে পায়। তিন মাস পর আজ থেকে সুন্দরবনে আবারও দর্শনার্থী ও বনজীবীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।