প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে প্রধান বিচাপতির দপ্তরে এ রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্রগুলো জানায়, প্রায় আধাঘণ্টাব্যাপী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রভাবশালী দুই উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। তাদের সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষার্থীও সুপ্রিম কোর্টে এসেছিলেন। তবে সেসব শিক্ষার্থী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না। উপদেষ্টাদের মধ্যে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টে প্রবেশ করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
ধারণা করা হচ্ছে—রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি এবং আপিল বিভাগের বর্তমান জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে বাংলাদেশের পরবর্তী প্রধান বিচারপতি করার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আপাতত বিচারিক দায়িত্বে থাকছেন না ১২ বিচারপতি
দুই উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধান বিচারপতি আইজিপি, র্যাব ডিজি ও ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এর আগে, ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত নেওয়া হয়। আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মতামত দিয়ে স্পেশাল রেফারেন্স পাঠানোর পরেই উপদেষ্টাদের শপথ পড়ানো হয়।
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি জোরালো হওয়ার পর থেকে সিনিয়র আইনজীবীরা বলছেন, বিষয়টি নিয়ে আবারও সুপ্রিম কোর্টের মতামত চাইতে পারে অন্তর্বর্তী সরকার। এমন অবস্থায় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করলেন দুই উপদেষ্টা।
এদিকে মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে আগামী বৃহস্পতিবারের (২৪ অক্টোবর) মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। সমাবেশে একই দাবি জানিয়েছেন আরেক সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসুদ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দেওয়ায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শহীদ মিনারে এই সমাবেশ ডাকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, আপনার সময় শেষ হয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা আর আপনাকে রাষ্ট্রপতি পদে দেখতে চায় না। হয় আপনি পদত্যাগ করুন, না হলে ছাত্র-জনতা বঙ্গভবন ঘেরাও করে হাসিনার মতো আপনাকে পালাতে বাধ্য করাবে।