ওই নারী এখন আদালতে, মিলেছে ধর্ষণের আলামত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৪, ২০২২, ০৩:৫৮ পিএম

ওই নারী এখন আদালতে, মিলেছে ধর্ষণের আলামত

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সম্পন্ন হয়েছে। এতে ধর্ষণের আলামত মিলেছে।  পরে তাঁকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য আদালতে পাঠানো হয়।

টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক তানভীর আহমেদ জানান, ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে জবানবন্দি দেওয়ার জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আনা হয়েছে। জবানবন্দি নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

মেডিকেল বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেহেনা পারভীন বলেন, তিন সদস্যের মেডিকেল টিম পরীক্ষা করেছে। কিছু সাইন পজিটিভ আছে। সাইন অব স্ট্রাগল রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন তিনি। তাঁর সোয়াব সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

কুষ্টিয়া থেকে ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ২৪/২৫ জন যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) রাতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। গভীর রাতে সিরাজগঞ্জ পৌঁছালে সেখান থেকে কয়েকজন ডাকাত যাত্রী বেশে ওই বাসে উঠে পড়ে। এরপর বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর ডাকাতদল সেটি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

পরে বাসে থাকা যাত্রীদের হাত, পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও টাকা-পয়সা লুটপাট করে। এসময় বাসের ভেতরেই এক নারী যাত্রীকে ডাকাতদল ধর্ষণ করে এবং বুধবার ভোর সাড়ে তিনটার দিকে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বাসটি বালুর ডিবির মধ্যে উল্টিয়ে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে নির্যাতনের শিকার নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সন্ধ্যায় শারীরিক পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

এদিকে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ‘মূলহোতা’কে প্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার রাজা মিয়া জেলার কালিহাতী উপজেলার বল্লা গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে। তিনি টাঙ্গাইল শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন ও ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটের ঝটিকা বাসের চালক ছিলেন।

Link copied!