প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে পুরোপুরি শীত নেমেছে। সড়ক ও নৌপথে চলতে বাদ সাধছে কুয়াশা। আবহাওয়া অফিস বলছে, ডিসেম্বরের শেষের দিকে বাড়তে পারে শীতের তীব্রতা। তবে জানুয়ারির আগে নেই শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আবহাওয়ার ভাষায় শীতকাল হচ্ছে তিন মাস। সেটা হচ্ছে ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি। দেশে শীতের তীব্রতা বাড়ে মূলত উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ যখন বাংলাদেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন।
আবহাওয়া পূর্বাভাস বলছে, ডিসেম্বরে উত্তরাঞ্চলে তাপমাত্রা নামতে পারে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি। আর অন্য জেলাগুলোতে থাকবে ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান খান গণমাধ্যমকে জানান, বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে এ বছর তীব্র শীত পড়তে দেরি হতে পারে। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে শীতের তীব্রতা ধীরে ধীরে বাড়বে।
এদিকে পঞ্চগড়ের দুই দিন ধরে একই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সোমবারের মতো আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে রবিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চিকিৎসকরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাঁশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।