মার্চ ৩, ২০২২, ০৭:৩৬ পিএম
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ভুয়া জন্মদিন পালন এবং যুদ্ধাপরাধীদের মদদ দেওয়ার অভিযোগে দায়ের করা দুই মামলা অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি আবারও পিছিয়েছেন আদালত। শুনানির নতুন তারিখ আগামী ২৩ মার্চ ধার্য করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামানের আদালতে মামলা দুটির অভিযোগ শুনানির তারিখ ধার্য ছিল।
অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে না পারায় তার পক্ষে অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার সময় চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির এ দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন উদযাপনের অভিযোগে খালেদা জিয়ার নামে মামলাটি করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে ১৯ ও ২২ আগস্ট দুই জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মেট্টিক পরীক্ষার নম্বরপত্র অনুযায়ী জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ১৯৪৬ সাল। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর জাতীয় শোক দিবসে খালেদা জিয়া আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন উদযাপন করে আসছেন। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন উদযাপন করেন।
অপরদিকে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী স্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র এবং জাতীয় পতাকার মানহানি ঘটানোর অভিযোগে আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন।