বিএনপির সঙ্গে জোটে যাওযার প্রশ্ন ওঠে না বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন জাতীয় পার্টির উধান উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ।
থাইল্যান্ডে পাঁচ মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে রবিবার (২৭ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টির জোট গঠনের বিষয়ে বেশ কিছু ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন চলছে। এ বিষয়ে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছিলেন, অগামী দিনের পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে সম্প্রতি আদালতে মামলার রায়ে জি এম কাদেরের রাজনৈতিক ও দলীয় কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় এনিয়ে আর কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। জাপার পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার কোনো বার্তা আসেনি। এতদিন বিষয়টি ঝুলে থাকলেও জাপা প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফিরে এবিষয়ে পরিষ্কার বার্তা দিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রওশন বলেন, ‘জনগণ উন্নতি ও শান্তি জন্য পরিবর্তন চায়। জাতীয় পার্টিই দিতে পারে সেই শান্তি। অবশ্যই তা বিএনপি নয়। বিএনপির সঙ্গে জোটের প্রশ্নই আসে না।’
বিএনপির আমলে জাপা খুবই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় এই নেতা আরও বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং আমিসহ দলের বহু নেতাকর্মী জেল খেটতে হয়েছে। তখন আমাদেরকে জনসভাও করতে দেওয়া হয়নি। সেই দিনগুলো কী ভুলে যাব?’
জাতীয় পার্টির বিভক্তি নিয়ে সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে রওশন এরশাদ বলেন, ‘আমি জাতীয় পার্টির সব সদস্যকে খোলা মনে আহ্বান জানিয়েছি, যারা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, নাজিউর রহমান মঞ্জু, কাজী জাফর আহমদের সঙ্গে চলে গেছেন এবং নিস্ক্রিয় হয়ে গেছেন, তাদের ফিরে আসার জন্য। ১৯৯১ হতে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় পার্টির কঠিন ও প্রতিকূল সময়, যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন তাদের আমাদের অবশ্যই যথাযথ স্বীকৃতি দিতে হবে।’
দেশের সাবেক এই ফার্স্টলেডি বলেন, ‘চিকিৎসা শেষে আমি দেশে ফিরে এসেছি। আমি পার্টির সব এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং অন্যান্যদের সঙ্গে বসবো। যেকোনো বিভ্রান্তি ও ভুল বোঝাবুঝি দূর করে ঐক্যবদ্ধভাবে শিগগির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফিরতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।’