কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আরও ৭০৫ জনকে নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে। ২৬৪ পরিবারের মোট ৭০৫ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষও ৮৭ জন অতিথি রোহিঙ্গাকে এই দফায় ভাসানচরে পাঠানো হয়।
বুধবার কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ভাসানচরে পাঠানোর নবম দফায় ২ পর্বে ৩৪টি গাড়িবহরে এসব রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রামের পথে রওনা দেয়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনকারী ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, বুধবার দুপুর ২টার দিকে প্রথম পর্বে রোহিঙ্গাবাহী আটটি বাসে করে ৪১৪ জন রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। একইদিন বিকেল ৫টার দিকে দ্বিতীয় পর্বে আরও ১৬টি বাস এবং অতিরিক্ত বাস, অ্যাম্বুলেন্স, কার্ভাডভ্যান পুলিশি নিরাপত্তায় ২৯১ জন রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। আজ বুধবার দুই দফায় মোট ৭০৫ জন রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়। আজ রাতে এসব রোহিঙ্গা চট্টগ্রামের নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে থাকবে।
সেখান থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকালে নৌবাহিনীর জাহাজে করে রোহিঙ্গাদের ভাসানচর আশ্রয়শিবিরে স্থানান্তর করা হবে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার শামসুদ দৌজা নয়ন জানান, ইতোপূর্বে অষ্টম দফায় ভাসান চরে নির্মিত আশ্রয়শিবিরে ১৮ হাজার ৯৫৭ জন রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে। ভাসানচরে মোট এক লাখ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।