সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও অবৈধ অভিবাসীদের আটক করতে হঠাৎ অভিযান পরিচালনা শুরু করেছে মালয়েশিয়া সরকার। এরফলে দেশটিতে থাকা বাংলাদেশিসহ অন্যান্য বিদেশি কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বহু বাংলাদেশি গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।
প্রবাসী জীবনের এ আতঙ্কের মধ্যেও রাজধানী কুয়ালালামপুরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে ২০৫ জন বিদেশিকে আটক করেছে অভিবাসন পুলিশ। আটকদের মধ্যে বাংলাদেশি, ইন্দোনেশিয়ান, মিয়ানমার ও নেপালের নাগরিক আছেন।
স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুয়ালালামপুর ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক হামিদি আদম। মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্য সান ডেইলি এই আটকের খবর প্রকাশ করেছে।
অভিযানের বিষয়ে ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ (আইন ১৫৫) এর ধারা ১৫ (১) (সি) এবং ৬ (১) (সি) এর আওতায় তাদের আটক করা হয়েছে। তাদের সবার বয়স ২০ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে এবং বেশির ভাগই আশপাশের নির্মাণস্থলে কর্মরত ছিলেন।
তিনি আরও বলেরন, কোভিড-১৯ এর বিস্তাররোধে নির্মাণ শ্রমিকরা এসওপি অনুযায়ী কাজ করছেন কি না- তা নিশ্চিত করতেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তাদের অনেকের কাছে কোভিড-১৯ পরীক্ষার কাগজও ছিল না।
কুয়ালালামপুর সিটি হলের (ডিবিকেএল) শ্রম বিভাগের কর্মকর্তা এবং ১৮ জন প্রয়োগকারী কর্মচারীর সহযোগিতায় বিভাগের ৯২ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অ্যাপার্টমেন্টে বসবাসরত ৪২৫ বিদেশির কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে ২০৩ জন পুরুষ ও দুই মহিলার কাজের কোনও নথি না রাখার জন্যও তাদের আটক করা হয়।