সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ০৩:০০ এএম
দেশে হুইস্কি ও বিয়ারের ওপর সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েয়ে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন। হুইস্কির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩৫০ শতাংশের জায়গায় ২৫০ শতাংশ এবং বিয়ারের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২৫০ শতাংশের বদলে ১৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবটি বিবেচনার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার জন্যই মূলতঃ এ প্রস্তাব করা হয়েছে।
রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, পর্যটনশিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে বিদেশি পর্যটকদের যেসব উপকরণের (আইটেম) প্রতি চাহিদা বেশি, সাধারণ পর্যটক যেসব উপকরণের প্রতি বেশি আগ্রহী এবং সর্বোপরি পর্যটনসংশ্লিষ্ট সব উপকরণের ওপর ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহারের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি।
বৈঠকে ওই সুপারিশের অগ্রগতিও জানানো হয়। তাতে বলা হয়, সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (পর্যটন অনুবিভাগ) সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে অর্থ বিভাগ, এনবিআর, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কাস্টমসের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া পর্যটন করপোরেশন বিদেশি পর্যটকদের চাহিদা আছে এমন ৫০টি অ্যালকোহলিক বেভারেজ (মদ) এবং ৭ ধরনের সিগারেটের একটি তালিকা দিয়েছে। তারা হুইস্কি ও বিয়ারের ওপর সম্পূরক শুল্ক কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এটি বিবেচনার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পর্যটনসংশ্লিষ্ট সব আইটেমের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহারে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডকে অনুরোধ করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে কুয়াকাটাসহ অন্যান্য পর্যটন এলাকায় অবকাঠামোসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া এবং পর্যটন এলাকার অনিবন্ধিত হোটেলগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়।