দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে ৭৭ বছর বয়সে ভোটার হয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী পদপর্যাদা) জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাঙামাটির সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, দেশের অন্যান্য নাগরিকের মতো নির্বাচন অফিসে এসে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ছবি তোলাসহ সব প্রক্রিয়া শেষ করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন সন্তু লারমা।
একই সঙ্গে তিনি করোনাভাইরাসের অ্যাস্ট্রেজেনিকার টিকা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা রেজিস্ট্রেশন করে কেন্দ্রে এসে সন্তু লারমা টিকা গ্রহণ করেছেন।’
জানা যায়, ১৯৪৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি রাঙামাটি জেলার মহাপুরম এলাকায় সন্তু লারমার জন্ম। তার বাবা চিত্ত কিশোর লারমা, মা সুভাষিণী দেওয়ান। বর্তমানে তিনি রাঙামাটি শহরের কল্যাণপুর এলাকায় সরকারি বাসভবনে বসবাস করেন।
জনশ্রুতি আছে, আঞ্চলিক পরিষদের আইনে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে নতুন ভোটার তালিকা প্রণয়নের দাবিতে দীর্ঘদিন ভোটার হওয়া থেকে বিরত ছিলেন সন্তু লারমা। অংশগ্রহণ করেননি কোনও জাতীয় নির্বাচনের ভোটে।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দুই যুগ পার্বত্য চট্টগ্রামে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন করেছে পাহাড়ের সংগঠন জেএসএস। এ অবস্থায় পার্বত্য এলাকায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালায় তৎকালীন সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ১৯৯৭ সালে অস্ত্র সমর্পণের মাধ্যমে একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বা শান্তিচুক্তি নামে পরিচিতি পায়।