পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় শনিবার পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের স্পাইস হাট রেষ্টুরেন্টে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আনন্দ সভার আয়োজন করা হয়। পর্তুগাল আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জহিরুল আলম জসিম।
অনুষ্ঠানে পর্তুগাল আওয়ামী লীগ সভাপতি জহিরুল আলম জসিম বলেন, পদ্মাসেতু দুনিয়া। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতারা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন।
জসিম আরও বলেন, এক সময় মাদারীপুর থেকে ঢাকা যেতে ৬ টা ফেরী পার হতে হতো। এখন আর পদ্মার ঘাটে শাক সবজি পচবে না, আমের গাড়ি কিংবা অ্যাম্বুলেস আটকে থাকবে না। ফরিদপুর-মাদারীপুর, শরিয়তপুর গোপালগঞ্জ সহ দক্ষিণাঞ্চলের তিন কোটি মানুষের জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে পদ্মা সেতু। এটি চালুর মধ্য দিয়ে শুধু এ অঞ্চলের জনগণের জীবনমানকে শুধু এগিয়ে নেবে তাই নয়, বরং এটা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পুরো বাংলাদেশের মানুষেরও জীবনকেই এগিয়ে নেবে। পুরো দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে পদ্মা সেতু হতে চলছে একটি নতুন মাইলফলক। ইতিমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে এই সেতুকে ঘিরে।
পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মিজানুর রহমান মোল্লা বলেন, জনগণের ভালোবাসায় আজ সেতু বাস্তব। কমিঊনিটির সিনিয়র ব্যক্তিত্ব, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা শুয়েব মিয়া বলেন, সব ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে প্রধানমন্ত্রীর অদম্য মনোবলের কারণেই পদ্মা সেতু আজ বাস্তব রুপ নিয়েছে।
পর্তুগাল আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন ভুঁইয়া বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্ভোধনের দিনটি ছিলো গোটা বাংলাদেশের জন্যই ঈদের মতো।
সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল ফকির বলেন, এই সেতু উদ্ভোধনের মধ্য দিয়ে আনন্দে আমাদের চোখে পানি চলে এসেছে। প্রতিবছর ঈদে লঞ্চ ডুবতো, ফেরি ডুবতো, শত শত মানুষের প্রাণহানি ঘটতো। এই জায়গা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের উত্তরণ ঘটিয়েছেন। এজন্য তাঁকে অভিবাদন জানাই।
পর্তুগাল আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, খালেদা-নিজামী-ইউনুস গংদের মুখে চুনকালি এঁটে দিয়েছে পদ্মা সেতু।
অনুষ্ঠানে যুবলীগ নেতা তানভীর আলম জনি বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে বাংলাদেশের অন্যতম সক্ষমতা ও অর্জনের প্রতীক হলো এই পদ্মা সেতু। যারা মুক্তিযুদ্ধ ও সাধীনতা চায়নি তারা এই সেতুকে মেনে নিতে পারছে না।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মাহবুব আলম, আওয়ামী লীগ নেতা আলিম উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন জুয়েল, জামাল উদ্দিন, যুবলীগ নেতা খ ই ফাহাদ, ছাত্রলীগ নেতা ইকরাম। অনুষ্ঠানশেষে প্রবাসীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।