মার্চের বৃষ্টিতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ৩১, ২০২৪, ০৫:১৬ এএম

মার্চের বৃষ্টিতে বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ

সংগৃহীত ছবি

বর্ষাকাল আসতে না আসতেই ডেঙ্গৃর প্রকোপ বেড়ে যায়। এবার অবশ্য বর্ষার আগের চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু। গতকাল শনিবার ১১ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জানা গেছে, তাঁরা সবাই ঢাকার বাসিন্দা।

এ নিয়ে এবছর হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৮৪ জনে। তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২২ জন। 

গত বছরের প্রথম তিন মাসের তুলনায় এবার ডেঙ্গুতে সংক্রমণ ও মৃত্যু প্রায় দ্বিগুণ বেশি। আবার ঢাকার বাইরে এবার মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণ, আগের বছরের ডেঙ্গুর ধারাবাহিকতা—এসব কারণে এবার ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কীটতত্ত্ববিদ, জনস্বাস্থ্যবিদ ও চিকিৎসকেরা।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপের সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও বৃষ্টিপাতের ধরনের পরিবর্তনের যোগসূত্র রয়েছে। তাপমাত্রা বাড়লে মশার দেহে ডেঙ্গুর জীবাণু দ্রুত বেড়ে যায়। মশার রক্ত হজমের শক্তিও বেড়ে যায়। বাংলাদেশেও এমনটি ঘটেছে। আর বর্ষার ধরনে পরিবর্তনের কারণে মশার প্রজনন বেশি হচ্ছে।

তাঁরা বলছেন, এ বছরও ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। এজন্য এখনই লাগাম টেনে ধরা দরকার। সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

এছাড়া স্বল্প সময়ের অভিযান বা কার্যক্রম করে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে থাকতে হবে পাঁচ থেকে দশ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা। আর এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সারা বছরব্যাপী চলমান থাকতে হবে।

রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তৌহিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তাপ দীর্ঘস্থায়ী হলে মশার বংশবিস্তার বেড়ে যায়। তবে এখানে আরও অনেক বিষয় কাজ করে। যেমন দেশে সারা বছর ধরে মশার ধারাবাহিক জরিপ হয় না। আবার যেসব ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো কতটুকু কার্যকর, তা–ও নিয়মিতভাবে দেখা হয় না।

বুয়েটের বন্যা ও পানি ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে এডিসবাহিত ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং বৃষ্টিপাতের ধরন পরিবর্তনের সম্পর্ক আছে। এ বিষয়ে আরও গবেষণা হওয়া উচিত।

Link copied!