গৃহবন্দী করা হয়েছে কাশ্মিরের সাবেক ৩ মুখ্যমন্ত্রীকে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই গৃহবন্দী করা তাদের। সাবেক তিন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, ওমর আব্দুল্লাহ এবং মুফতি মেহবুবার বাসভবনের দরজায় রাখা হয়েছে পুলিশের ভারী ট্রাক। শিকল লাগানো হয়েছে সদর দরজায়।
বিধানসভা আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে নেতারা যাতে শান্তিপূর্ণ ধরনায় বসতে না পারেন, সে জন্যই এ ব্যবস্থা। প্রশাসনের এই ‘জুলুম’–এর বিরুদ্ধে সরব উপত্যকার সব রাজনৈতিক দল। ব্যতিক্রম অবশ্যই দেশটির কেন্দ্র ক্ষমতায় আসীন দল বিজেপি।
শুক্রবার (৩১ডিসেম্বর) শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি নিয়েছিল পাঁচদলীয় জোট গুপকর অ্যালায়েন্স। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লাহ জোটের এই কর্মসূচির কথা জানিয়ে বলেছিলেন, শান্তিপূর্ণভাবে তারা ‘ডিলিমিটেশন কমিশন’–এর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবেন।
রাজ্য দ্বিখণ্ডিত হওয়ার পর এই কমিশন জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভার সীমানা পুনর্গঠনের কাজে হাত দেয়। গত ডিসেম্বর মাসে কমিশন সুপারিশ করে, নতুন এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিধানসভার মোট আসন বাড়িয়ে করা হবে ৯০। এর মধ্যে জম্মু অঞ্চলে বাড়বে ৬টি আসন। ৩৭ থেকে বেড়ে এই অঞ্চলের মোট আসন হবে ৪৩।
কাশ্মীর অঞ্চলে একটি আসন বেড়ে হবে ৪৭। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে জম্মু ও কাশ্মীরের মধ্যে আসনসংখ্যার ব্যবধান ৯ থেকে কমে ৪-এ দাঁড়াবে। উপত্যকার রাজনীতিকদের অভিযোগ, সরকার গঠনে হিন্দুপ্রধান জম্মুকে সুবিধা পাইয়ে দিতে বিজেপি এই ব্যবস্থায় এগোচ্ছে।
উপত্যকার সব রাজনৈতিক দল এই আসন বিন্যাসের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। কমিশনের প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছে। শনিবার ওই প্রস্তাবের বিরোধিতার জন্য শান্তিপূর্ণ ধরনার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল। তা বানচাল করতেই তিন সাবেক মুখ্যমন্ত্রীকে গৃহবন্দী করা হয়।