রাশিয়ায় নিখোঁজ হওয়া যাত্রীবাহী বিমানটি পূর্বাঞ্চলীয় কামচাটকা উপদ্বীপের নিকটবর্তী ওখটস্ক সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানের ক্রুসহ ২৮ আরোহীর সবাই নিহত হয় বলে রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাসের খবরে বলা হয়েছে।
পেট্রোপাভ্লভস্ক-কামচাটস্কি এয়ার এন্টারপ্রাইজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আলেক্সি খারব্রভের বরাত দিয়ে সরকার নিয়ন্ত্রিত বার্তা সংস্থা আরআইএ নোভোস্তির খবরে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
আলেক্সি খারব্রভ বলেন, আন্তনোভ এএন-২৬ মডেলের দুই ইঞ্জিনের টার্বোপ্রোপ বিমানটি সাগরের যে অংশে আছড়ে পড়েছে সে স্থানটি চিহ্নিত করতে পেরেছে রাশিয়ার জরুরি দুর্যোগ বিভাগ।
দেশটির জরুরি দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আরআইএ নোভোস্তির খবরে বলা হয়. বিধ্বস্ত হওয়ার আগে যাত্রীবাহি বিমানটি একটি পাহাড়ের চূড়ায় ধাক্কা খায়। এ ঘটনায় আরোহীদের কেউ বেঁচে নেই।’
এর আগে, বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) ৬ জুন ক্রু ও ২২ জন যাত্রী নিয়ে অ্যান্টোনভ এএন-২৬ মডেলের ওই বিমানটি কামচাটকা উপদ্বীপের ওপর দিয়ে উড্ডয়নের সময় এয়ার ট্রাফ্রিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বিমানটি কামচাটস্কি থেকে সাগর তীরবর্তী শহর পালানায় (কামচাটকার উত্তরাঞ্চল) যাচ্ছিল।তবে বিমানটি নিরাপত্তাগত কোনো ত্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে কিনা, সেটা তদন্ত করে দেখছেন রুশ কর্মকর্তারা।
এর আগে, রাশিয়ান বার্তা সংস্থা তাস জানায়, বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে। দেশটির অপর আরেকটি বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের খবরে বলা হয়, পালানা শহরের নিকটবর্তী একটি কয়লা খনির কাছে বিমানটি ভুপাতিত হয়ে থাকতে পারে।
বিমান রক্ষণাবেক্ষণ এবং সুরক্ষার মান নিয়ে শিথিলতার কারণে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ায় বেশ কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের মে মাসে রাজধানী মস্কো বিমানবন্দরে একটি রুশ বিমান অবতরণ করার সময় আগুন ধরে গেলে ৪১ যাত্রীর মৃত্যু হয়।