পবিত্র নগরী মক্কায় হজযাত্রীদের মৃত্যুতে ১৬ ট্যুরিজম কোম্পানির লাইসেন্স বাতিলের পাশাপাশি তাদের বিচারের জন্য পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে হস্তান্তর করেছে মিশর।
শনিবার (২২ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পরিস্থিতি মোকাবিলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি দল।
চলতি বছর হজে পবিত্র নগরী মক্কায় মিশরের ৫৩০ জন হজযাত্রীর মৃত্যুর খবর মেডিকেল ও নিরাপত্তা সূত্রে এসেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার মিশরের প্রধানমন্ত্রী মোস্তফা মাদবৌলিকে প্রধান করে হজযাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যবস্থা নিতে একটি কমিটি গঠন করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, নিহতদের মধ্যে ৩১ জন দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
আরও বলা হয়, যেসব হজযাত্রীর মৃত্যু হয় তাদের ট্যুরিজম কোম্পানিগুলো কোনো ধরনের মেডিকেল সুবিধা দেয়নি। যদিও বিবৃতিতে ট্যুরিজম কোম্পানির নাম উল্লেখ করা হয়নি। মিশরের এসব ট্রাভেল প্রতিষ্ঠানগুলো হজযাত্রীদের ভ্রমণ ভিসায় সৌদিতে নেওয়ার পর হজ ভিসা বলে চালিয়ে দেয়।
উল্লেখ করা হয়, পবিত্র হজে সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজিদের নিরাপত্তায় মেডিকেল সুবিধাসহ ছাউনি স্থাপন করে। আর এসব সুবিধা হজ ভিসায় যাওয়া যাত্রীদের দেওয়া হয়। ব্যক্তিগত বা ভ্রমণ ভিসায় যারা হজে অংশ নিয়েছেন তাদের জন্য কোনও সুবিধা দেয়নি রিয়াদ কর্তৃপক্ষ। মিশরের হজযাত্রীরা ভ্রমণ ভিসায় সৌদি আরব গিয়ে হজে অংশ নেন। ফলে তারা পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে মরুভূমির পথে হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষের চেষ্টা করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন।
কায়রো কর্তৃপক্ষ বলছে, ট্রাভেল এজেন্সিগুলো হজযাত্রীদের বাসস্থানের সুবিধা না রেখেই তাদের হজে পাঠায়। এতে তাদের তীব্র তাপমাত্রার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী ৩১ জন হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে যারা একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন। বাকি যাদের মৃত্যু হয়েছে তারা নিবন্ধিত হজযাত্রী ছিলেন না।
এবারের হজে মক্কায় সর্বোচ্চ ৫১ ডিগ্রি সেলসিয়াস অসহনীয় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এতে অসুস্থ হয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীর মৃত্যু হয়।