সীমান্তে ভোর থেকে থেমে থেমে আসছে গুলির শব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৪, ০৩:৪৪ এএম

সীমান্তে ভোর থেকে থেমে থেমে আসছে  গুলির শব্দ

সংগৃহীত ছবি

চার-পাঁচ দিন আগে হঠাৎ অশান্ত হয়ে ওঠা বান্দরবান ও কক্সবাজার সীমান্ত শান্ত হয়ে গিয়েছিল। স্থানীয়রা জানান, গতকাল শুক্রবার মর্টার শেল বা গুলির আওয়াজ পাওয়া যায়নি। তবে এই স্বস্তি বেশিক্ষণ থাকলো না। আজ সকাল ৭টা থেকে টেকনাফ হোয়ইক্ষ্যং উনছিপ্রাং সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরের গোলাগুলি আর মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ থেমে থেমে শোনা গেছে।

উনছিপ্রাং সীমান্তের স্থানীয়দের দাবি, ওপারে ঢেঁকিবুনিয়া এলাকায় মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটিগুলো দখল করার পর আরাকান আর্মি ও অন্যান্য বিদ্রোহীরা টেকনাফ অংশে মিয়ানমারের শহর শীলখালী, বলিবাজার ও কুইরখালী দখল নিতে এই হামলা করছে।

উনছিপ্রাং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রশিদ আহমদ বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি আর মর্টার শেল বিস্ফোরণের বিকট শব্দ এখনো ভেসে আসছে। সীমান্তের কাছাকাছি যারা চিংড়ি চাষিদের নিরাপদ স্থানে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে দেশটির জান্তা বাহিনীর লড়াই চলছে। তা’আং ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি-টিএনএলএ, আরাকান আর্মি-এএ এবং মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি-এমএনডিএএ মিলে জোট গঠন করে আক্রমণ চালাচ্ছে। তারা শান, রাখাইন, চীন ও কেয়াহ রাজ্যে লড়াই করছে। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও সেনাপোস্ট দখল করে ইতোমধ্যে তারা সাফল্য দেখিয়েছে।

জোটের অন্যতম অংশ আরাকান আর্মি মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য রাখাইনের সংখ্যালঘু নৃগোষ্ঠীর একটি সশস্ত্র বাহিনী। তারা রাখাইনের বৃহত্তর স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে লড়াই করছে। এ রাজ্যটিই বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে। সেখানে সেনা ও বিদ্রোহীদের মধ্যে লড়াইয়ের প্রভাব পড়ছে সীমান্তের এপারের জনগোষ্ঠীর মধ্যে।

ওপারের যুদ্ধে এপারে ছুটে আসা গুলিতে দুই বাংলাদেশির প্রাণ গেছে; আহত হয়েছেন কয়েকজন। সীমান্তের এপারে কারো কারো ঘরবাড়িতে এসে পড়ছে গোলা।

২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা নেয় দেশটির সেনাবাহিনী। এর তিন বছর পর বিদ্রোহীদের তুমুল আক্রমণে এখন চাপের মুখে জান্তা সরকার।

Link copied!