দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণায় জড়িত রাজধানীর উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এই রায় ঘোষণা করেন। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর।
চলতি বছরের গত ১০ আগস্ট এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক ও উপস্থাপন শেষে আদালত চূড়ান্ত রায় ঘোষণার দিন ২১ আগস্ট ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ‘২০২০ সালের ৫ নভেম্বর নির্ধারিত ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পদের হিসাব জমা দিতে সাহেদকে নোটিশ দেয় দুদক। এ সময়ে তিনি সম্পদের হিসাব জমা না-দেওয়ায় আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে বর্ধিত সময়ের মধ্যেও সম্পদ বিবরণী জমা না দেওয়ায় অনুসন্ধানে নামে দুদক। অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৬৯ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া যায়।’
পরে ২০২১ সালের ১ মার্চ দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল এই মামলায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলাটিতে মোট ১০ জন সাক্ষীর মধ্যে সবাই বিভিন্ন সময় সাক্ষ্য দেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাহেদ করিম ওরফে মোহাম্মদ সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এছাড়া অস্ত্র আইনের ১৯ (এফ) ধারায় তার সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার এড়াতে শাহেদ করিম গত বছর ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার দেবহাটার কোমরপুর এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এ সময় তাকে বোরকা পরা অবস্থায় একটি পিস্তল ও ৩ রাউন্ড গুলিসহ আটক করা হয়।