সবচেয়ে পুষ্টিকর ফলগুলির মধ্যে একটি হচ্ছে পাকা পেঁপে। কাঁচা পেঁপেও নানা গুণে ভরপুর। আর হাতের নাগালেই পাওয়া যায় পেঁপে। প্রায় সব বাজারেই ওঠে। অনেকের বাড়িতেও পেঁপে গাছ থাকে। পেঁপে খেলে নানা রোগ থেকে মুক্তি মেলে। কর্মক্ষমতা বাড়ে। তাই যে কোনও সময়ে পেঁপে খাওয়ার প্রবণতাও বেশি রয়ছে ঘরে ঘরে।
অন্তঃসত্ত্বা বা সন্তানসম্ভাবনা নারীদের পু্ষ্টিকর খাবার খাওয়ানো জরুরি বটে। তাই রকমারি ফল-সব্জি দেওয়া হয়। কিন্তু এ সময়ে পেঁপে খাওয়া কোনোভাবেই নিাপদ নয়। অন্তঃসত্ত্বাকে পেঁপে দিলে উল্টে সমস্যা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। সে কথা হয়তো অনেকেরই জানা নেই। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের লাইফস্টাইল বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে।
কেন অন্তঃসত্ত্বাকে পেঁপে খাওয়াবেন না?
১) কাঁচা পেঁপেতে ল্যাটেক্সযুক্ত পদার্থ রয়েছে। তা গর্ভাশয় সঙ্কোচনের কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কাঁচা বা আংশিক ভাবে পাকা পেঁপে খেলেও তাই সমস্যা হতে পারে।
২) পেঁপেতে উপস্থিত পেপসিন এবং পাপাইন ভ্রূণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। পেঁপে খেলে ভ্রূণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
৩) পেঁপেতে থাকে দু’টি এনজাইম। সে দু’টির প্রভাবে ভ্রূণের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৪. পেপসিন এবং পাপাইন ভ্রূণের বেঁচে থাকা এবং উন্নয়নের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে গর্ভাবস্থায় পেঁপে খাওয়ার ফলে ইমপ্লান্টেশন এড়াতে পারে, গর্ভধারণের পরে গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ায় এবং ভ্রূণের সম্ভাব্য ক্ষতি পোষণ করে।
৫. কাঁচা পেঁপে রক্তচাপ বাড়াতে পারে এবং এমনকি প্লাসেন্টাতে অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ বা রক্তপাত হতে পারে। প্লাসেন্টা থেকে রক্তপাত বা রক্তস্রাব গর্ভাবস্থায় প্রসব সম্পর্কিত জটিলতা সৃষ্টি করে। পেঁপে প্লাসেন্টার বিকাশ ও ফাংশনকে প্রভাবিত করতে পারে।
৬. পেঁপে মলের গতিশীলতা বৃদ্ধি করে। যাইহোক, অতিরিক্ত আন্ত্রিক আন্দোলন বা মলত্যাগ গর্ভাশয় ও তার চারপাশে চাপ সৃষ্টি করে এবং গর্ভপাত হতে পারে। পেঁপে ফাইবার সমৃদ্ধ এবং পেট ও অন্ত্রের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং সম্ভবত গর্ভপাত হতে পারে। এ সব কারণেই অন্তঃসত্ত্বাদের কয়েক মাস পেঁপে না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।