কারখানা থেকে বাড়িতে ফেরার পথে পোশাককর্মীকে হত্যা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

আগস্ট ৫, ২০২৩, ০৭:৪৩ পিএম

কারখানা থেকে বাড়িতে ফেরার পথে পোশাককর্মীকে হত্যা

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ফারজানা আক্তার (২২) নামের এক পোশাককর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মশিন্দা গ্রামের ধানাইদহ-লক্ষীকোল আঞ্চলিক সড়কের পাশ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, ফারজানা আক্তার বড়াইগ্রাম উপজেলার মেরিগাছা গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে। তিনি পাবনার ঈশ্বরদী ইপিজেডে একটি পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুলবুল হোসেন (৩০) নামের এক ভ্যানচালককে আটক করেছে পুলিশ।

জানা গেছে, ফারজানা ও অনি রহমানের একটি সন্তান আছে। পারিবারিক কলহের কারণে ফারজানা স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে এসে পোশাক কারখানায় কাজ নেন। চার দিন আগে স্বামীর সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয়। প্রতিদিনের মতো গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে তিনি কারখানা থেকে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে বড়াইগ্রামের কয়েনবাজার বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে তিনি একটি ভ্যানে চড়ে বাড়ির দিকে রওনা হন। তাঁকে বহনকারী ভ্যানটি ধানাইদহ-লক্ষীকোল আঞ্চলিক সড়ক হয়ে মশিন্দা বিলের মধ্যে পৌঁছালে কয়েকজন যুবক তাঁকে জোর করে ভ্যান থেকে নামিয়ে নিয়ে যান। ভ্যানচালক বুলবুল হোসেনের মাধ্যমে খবর পেয়ে ফারজানার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বড়াইগ্রাম থানাকে জানান। পুলিশ ও স্বজনেরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সড়কের পাশের ফসলি জমিতে তাঁর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।

নিহতের বাবা শহিদুল ইসলাম বলেন, চার দিন আগে তাঁদের (ফারজানা-অনি) ছাড়াছাড়ি হয়েছে। এখন কী কারণে, কে বা কারা তাঁর মেয়েকে হত্যা করেছে, তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি চান, পুলিশ তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি করুক।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক বলেন, পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ও সিআইডির একাধিক দল ঘটনার রহস্য উদ্‌ঘাটনে কাজ করছে। ইতিমধ্যে ভ্যানচালককে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Link copied!