সাগর-রুনির হত্যা: এক যুগ পেরোলেও রহস্য অজানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ১২:৫৫ পিএম

সাগর-রুনির হত্যা: এক যুগ পেরোলেও রহস্য অজানা

সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি।

আজ ১২ বছর পূর্ণ হলো সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যাকাণ্ডের। তবে শেষ হয়নি মামলার তদন্ত।

র‍্যাব পাঁচ বছর আগে আদালতে জমা দেওয়া অগ্রগতি প্রতিবেদনে বলেছিল, ঘটনাস্থলে দুজন অজ্ঞাত পুরুষের ডিএনএর নমুনা পাওয়া গেছে। তবে এখন পর্যন্ত সেই দুজনকে খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি। এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত আদালতে জমা দেওয়ার তারিখ ১০৫ বার পিছিয়েছে।

তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীদের ধরার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এক যুগেও শেষ হয়নি ৪৮ ঘণ্টার সেই প্রতিশ্রুতি। এ হত্যাকাণ্ডের বিচার কবে শুরু হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মামলার বাদীর।

সাগর-রুনির সহকর্মীরা প্রতি বছর ১১ ফেব্রুয়ারি রাস্তায় দাঁড়িয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করেন। প্রতি বছরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে সংশ্লিষ্টরা। যদিও চলতি বছরের পহেলা ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত শেষ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যদি ৫০ বছর সময় নেয়, তাহলে ততদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আনিসুল হকের এ বক্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা স্থানে সমালোচনার ঝড় উঠে। পরে আবার আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তে ৫০ বছর লাগা নিয়ে তার বক্তব্য ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।’ আইনমন্ত্রীর ভাষ্য, সংবাদ সম্মেলনে তিনি আসলে ‘সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রকৃত অপরাধী ধরা না পড়া পর্যন্ত তদন্ত চলবে’ বোঝাতে চেয়েছিলেন। আর সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীকে ধরতে প্রয়োজনে ৫০ বছর লাগার কথাটি তিনি ‘আপেক্ষিক অর্থে’ বলেছিলেন।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন সাংবাদিক দম্পতি সাগর ও রুনি। সাগর সে সময় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মাছরাঙা টিভিতে এবং রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।

Link copied!