টেকনাফে ২৪ ঘণ্টায় সাতজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২৮, ২০২৪, ০৮:৪৯ এএম

টেকনাফে ২৪ ঘণ্টায় সাতজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি

সংগৃহীত ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে ২৪ ঘণ্টায় সাতজন ব্যক্তিকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীদের পরিবারের দাবি, অপহরণকারীরা মুক্তিপণ হিসেবে প্রত্যেকের জন্য তিন লাখ টাকা করে দাবি করেছেন।

আগের দিন অপহরণের শিকার হওয়া দুইজন ফিরে না আসার মধ্যে বুধবার দুপুর ২টার দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনচিপ্রাংয়ে ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাহাড়ি এলাকা থেকে ছয় জনকে এবং পুটিবুনিয়া পাহাড়ি এলাকা থেকে ১ জনকে অপহরণ করা হয়। 

হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ নুর আহমেদ আনোয়ারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অপহৃতরা হলেন টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড কম্বনিয়া পাড়ার ফিরোজ আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ নুর (১৫) ও হ্নীলা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের মৃত আমির হোসেনের ছেলে অলী আহমেদ (৩০), ৫ নম্বর ওয়ার্ড করাচি পাড়ার লেদু মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৫), বেলালের ছেলে মো. জুনায়েদ (১৩), নুরুল আমিনের ছেলে মো. সাইফুল (১৪), শহর আলীর ছেলে মো. ফরিদ (২৫) ও নাজির হোসেনের ছেলে সোনা মিয়া (২৪।

ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমেদ বলেন, প্রতিদিনের মতো বুধবার বিকেলে সবজিক্ষেত পাহারা দিতে গিয়ে পাঁচ শ্রমিক অপহরণের শিকার হন। তাদের পরিবারের কাছ থেকে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মোহাম্মদ নুর পাহাড়ে পাশে গরু চড়াতে যান। দুপুরের দিকে অকস্মাৎ একদল অস্ত্রধারী দুর্বৃত্ত পাহাড় থেকে নেমে এসে তাকে ও অলী আহমেদ নামের এক কাঠুরিয়াকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে পাহাড়ের ভেতর নিয়ে যায়। সন্ধ্যার দিকে মোবাইলে কল করে দুজনের মুক্তিপণ হিসেবে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয়।

এর আগে ২১ মার্চ ভোররাতে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পশ্চিম পানখালী পাহাড়ি এলাকা থেকে পাঁচ কৃষককে অপহরণ করে দুর্বৃত্তরা। পরে ২৪ ও ২৫ মার্চ মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসেন তারা।

গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে শতাধিক মানুষকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা।

ভুক্তভোগীদের পরিবারের তথ্য বলছে, অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫১ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে।

গত ৯ মার্চ হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্র ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ ফেরেননি ১৯ দিনেও।

পুলিশ এই ঘটনায় ব্যবহৃত অটোরিকশার চালক ও সংঘবদ্ধ চক্রের নারী সদস্যসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা।

Link copied!