কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১, আহত ৬

নিজস্ব প্রতিবেদক

নভেম্বর ১১, ২০২১, ০৯:৫৮ পিএম

কক্সবাজারে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১, আহত ৬

কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের তেতৈয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬ জন। 

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সকালে খুরুশকুল ইউনিয়নের তেতৈয়ায় এই ঘটনা ঘটে। পুকক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর সিপিএসসি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান এই হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আহতদের নিয়ে র‌্যাবের একটি টিম কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক পুতুকে (৩৫) মৃত ঘোষণা করেন। তিনি খুরুশকুল ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ও বর্তমান মেম্বার শেখ কামালের ছোট ভাই। এই ঘটনায় আরও ৬ জন আহত হয়েছেন, তবে তাদের পরিচয় এখনও নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি।

খুরুশকুল ইউপির স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল আমিন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, ১নং ওয়ার্ডের দুই মেম্বার প্রার্থী শেখ কামাল ও আবু বক্কর ছিদ্দিকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুতু নামে শেখ কামালের এক কর্মী মারা যান। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৬-৭ জন।

তিনি আরও বলেন, এই ইউপির আরও তিনটি কেন্দ্র অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। মনুপাড়া, ডেইল পাড়া এবং গাজীর ডেইল কেন্দ্রে প্রশাসনের অবস্থান আরও বেশি নিশ্চিত করা দরকার নতুবা যেকোনো মুহূর্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে।

স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, শেখ কামালের লোকজন কেন্দ্রে প্রবেশ করলে আবু বক্কর ছিদ্দিকের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। পরে উভয় পক্ষ ফাঁকা গুলি ছুড়ে কেন্দ্র ভোটারশূন্য করে। খবর পেয়ে প্রশাসন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কক্সবাজারের উপসচিব (ডিডিএলজি) শ্রাবস্তী রায় বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষে কেউ মারা গেছে কিনা জানি না। তবে কয়েকজন আহত হওয়ায় তাদেরকে চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রে কোনো ভোটার নেই। ভোটার এলে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ ভোট চলাকালীন ওই ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী বাবুলের সমর্থকরা ব্যালট পেপার আলাদা করে জোরপূর্বক অবৈধ সীল মারার চেষ্টা করলে অপর মেম্বার প্রার্থী শেখ কামালের ভাই আকতারুজ্জামান এতে বাধা দেন। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় দায়ের কোপ এবং গুলি লাগলে আহত হন আকতারুজ্জামান। আহত অবস্থায় তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ ঘটনাস্থলে আসেন।

Link copied!