কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১২, ২০২২, ০৩:৪৫ এএম

কমতে পারে ভোজ্যতেলের দাম

দেশে নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। বিশেষ করে ভোজ্যতেলের দাম লাগাম ছেড়েছে। এ অবস্থায় সয়াবিন তেলের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা যায়, বাজারে বর্তমানে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। সয়াবিন তেল আমদানিকারক কোম্পানিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সিটি গ্রুপ। কোম্পানিটির বিপণন বিভাগের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেছেন, সরকার ভ্যাট প্রত্যাহারের যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৩০ টাকার মত কমতে পারে।

অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, সয়াবিন তেলের ক্ষেত্রে মোট ২০ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ৫ শতাংশ। এই সিদ্ধান্ত আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল থাকবে।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার, ১০ মার্চ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নিত্যপণ্যের বাজার সামাল দিতে ভোজ্যতেলে ভ্যাট মওকুফের ঘোষণা দিয়েছেন। সচিবালয়ের ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এদিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে জিনিসপত্রের দাম যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সেজন্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে যেসব আইটেমের ওপর ভ্যাট ছিল সেগুলো আজ তুলে নিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করা হচ্ছে। ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে চিনি, ছোলা ও ভোজ্যতেলের ওপর থেকে।

অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেন যে, নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মানুষের কষ্ট হচ্ছে। মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জনগণ তখনই ক্ষতিগ্রস্ত হয় যখন নিজস্ব উৎপাদন কম হয়। আবার আমদানি করা জিনিসগুলো তো আমাদের হাতে নয়, বিভিন্ন প্যারামিটারের কারণে সেগুলোর দামও বেড়ে যায়। এতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্রেতারা।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, যেমন এখন যুদ্ধ চলছে, এটাও অন্যতম একটা কারণ। এ রকম পরিস্থিতিতে এলসি প্রাইস, ট্রান্সপোর্ট কস্ট বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেন আমদানিকারকরাও। এতে স্বাভাবিক কারণেই দাম আরও বেশি বেড়ে যায়।

অর্থমন্ত্রী আরও জানান যে, উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ভ্যাট ও শুল্ক প্রত্যাহারের পাশাপাশি সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবিকেও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছে। টিসিবির মাধ্যমে যদি সঠিকভাবে পণ্য বিতরণ করা যায়, তাহলে বাজারে সিন্ডিকেটের কাছে যদি কোনো মালামাল থেকে থাকে এবং দাম বাড়ানোর চেষ্টা করে, তারা সেই সুযোগ পাবে না।

Link copied!