কিছু কর্মকর্তার জন্য নির্বাচন কমিশনের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ২৯, ২০২২, ০৭:৪৭ পিএম

কিছু কর্মকর্তার জন্য নির্বাচন কমিশনের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে দায়িত্বরত কিছু কর্মকর্তার জন্য প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগ আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষের জন্য আমাদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা যদি দক্ষতার সঙ্গে এবং সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে পুরো নির্বাচন কমিশনকে সেই বদনামের দায়ভার নিতে হবে। এ বিষয়টি নজরে রাখতে হবে।’

জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘ভুল বিভিন্ন কারণে হতে পারে। কারেকশনের ক্ষেত্রে কিন্তু চাহিবামাত্র ইহার বাহককে দিতে বাধ্য থাকিবে, তা নয়। আমাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হবে। কিন্তু মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয়।’

এনআইডির গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে সিইসি বলেন, ‘এটার (এনআইডি) আদিমত্ব আছে। আমরা সিনেমাতে দেখেছি যে আদিকালে রাজা বা সম্রাট তার দূত পাঠাতেন অন্য সম্রাটের কাছে, উনি সেখানে গিয়ে তার পরিচয়পত্র পেশ করতেন। পরিচয়ের কিন্তু প্রয়োজন আছে, সেটার আবশ্যকতা অস্বীকার করার উপায় নেই। আইডেনটিটি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা কিন্তু ব্যাপক। আমার জীবনে আইডি কার্ডের শুরু হয়েছিল ক্লাস সিক্স থেকে। তখন স্কুল থেকে ছবিযুক্ত দুই পাতার আইডেনটিটি ছিল। তখন আইডেনটিটি কার্ডের প্রয়োজন ছিল দুটি ক্ষেত্রে—  একটি বাসে অর্ধেক ভাড়া নিত, আর সিনেমা হলে দেখতে গেলে স্টুডেন্ট পরিচয় দিলে অর্ধেক পয়সায় আমরা সিনেমা দেখতে পারতাম। এরপর যখন যুদ্ধ শুরু হলো তখন আমি ক্লাস টেন-এ পড়ি। তখন এটাকে ডন্ডি বা ডান্ডি কার্ড বলা হতো।’ 

ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর।

Link copied!