গুরুতর অসুস্থ হেলাল হাফিজকে দেখার কেউ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

সেপ্টেম্বর ৪, ২০২২, ০৩:৫০ পিএম

গুরুতর অসুস্থ হেলাল হাফিজকে দেখার কেউ নেই

গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বারডেম হাসপাতালে ভর্তি আছেন জনপ্রিয় কবি হেলাল হাফিজ। কিন্তু এখন কবির পাশে কেউ নেই। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে চিকিৎসার জন্য তাকে ভর্তি করা হয়।

চলচ্চিত্র নির্মাতা শবনম ফেরদৌসী কবিকে দেখে ফেরার সময় ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন,  ‘নিউট্রন বোমা বোঝ, মানুষ বোঝ না’—এ কবিতার কবি হেলাল হাফিজ অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে। তিনি ‘মেজর ডিপ্রেসিভ ডিসঅর্ডার’ এ ভুগছেন। আনুষঙ্গিক অসুস্থতা তো আছেই। তার সঙ্গ প্রয়োজন। হাসপাতালে সঙ্গে থাকবার লোক প্রয়োজন। আশা করি তার ভক্ত ও সুহৃদরা সেই নিঃসঙ্গতা কিছুটা হলেও লাঘব করবেন।

সংস্কৃতিকর্মী নাসিরুদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু ঢাকার বাইরে। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হেলাল হাফিজ অনেকদিন ধরেই অসুস্থ। তার সঙ্গে হাসপাতালে থাকার মতো কেউ নেই সেটা জানলাম। আমি ঢাকায় যোগাযোগ করে দেখছি।

সংস্কৃতিকর্মী লায়লা আফরোজ বলেন, একজন জাতীয় কবির পাশে হাসপাতালে থাকবার লোকের অভাব হবে কেন? কবিদের একটি ফেডারেশন আছে তারা কী করছে?

হেলাল হাফিজের জন্ম ১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর নেত্রকোনায়। ১৯৮৬ সালে তার প্রথম কবিতার বই ‘যে জলে আগুন জ্বলে’ প্রকাশিত হয়। কবিতার জন্য ২০১৩ সালে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।

২৬ বছর পর ২০১২ সালে আসে তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কবিতা একাত্তর’। তার অন্যতম জনপ্রিয় কবিতা ‘নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়’ কবিতার দু’টি পঙ্থক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ বাংলাদেশের কবিতামোদী ও সাধারণ পাঠকের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়ে থাকে। তিনি সাংবাদিক ও সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কাজ করেছেন।

১৯৬৫ সালে নেত্রকোনা দত্ত হাইস্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৬৭ সালে নেত্রকোনা কলেজ থেকে তিনি এইচএসসি পাস করেন। ওই বছরই কবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ১৯৭২ সালে তিনি তৎকালীন জাতীয় দৈনিক পূর্বদেশে যোগদান করেন। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দৈনিক পূর্বদেশের সাহিত্য সম্পাদক। ১৯৭৬ সালের শেষ দিকে তিনি দৈনিক দেশ পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক পদে যোগদান করেন। সর্বশেষ তিনি দৈনিক যুগান্তরে কর্মরত ছিলেন।

Link copied!