বেটা
নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ১৪, ২০২৩, ১১:১২ পিএম
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. কামরুল ইসলাম বলেছেন, আসামি মিয়া নুরউদ্দিন আহমেদ অপু যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস), তা তিনি জানতেন না। এ ছাড়া অপুর পক্ষে শুনানিতে তিনি প্রচুর ফি পেয়েছেন। এ কারণেই তার পক্ষে শুনানি করেছেন।
এর আগে অর্থপাচার প্রতিরোধ আইন ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আদালতে অপুর জামিনের পক্ষে শুনানিতে দাঁড়িয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতার সমালোচনা শুরু হয়। অনেকে বলছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের পার্থক্যের কারণেই এটি বিস্ময়কর ঘটনা।
মামলা নেওয়া প্রসঙ্গে কামরুল ইসলাম বলেছেন, এক জুনিয়রের আপন ভাইয়ের মামলা, সেই হিসেবে ব্রিফ করেছি। প্রচুর ফি পেয়েছি, এ জন্য আসামির পক্ষে কয়েক দিন শুনানি করেছি। গতকালও অনেক টাকা ফি পেয়েছি।
বিষয়টি নিয়ে অনেকেই তার নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেছেন। তারা বলছেন, রাজনৈতিক আদর্শের কারণে তিনি তারেক রহমানের এপিএসের জামিনের পক্ষে দাঁড়াতে পারেন না।
এ বিষয়ে সাবেক খাদ্যমন্ত্রীর দাবি, অপু যে তারেক রহমানের এপিএস ছিলেন তা তিনি জানতেন না। মামলার কোথাও তো সেটা লেখা ছিল না। রাষ্ট্রপক্ষও শুনানিতে তা উল্লেখ করেনি।
সমালোচনার মধ্যে আসামি নুরউদ্দিন আহমেদ অপুর জামিনের পক্ষে দাঁড়ানোর পরও আওয়ামী লীগের এ নেতা আজ মঙ্গলবারের (১৪ মার্চ) শুনানিতে আসেননি।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাশকতা ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ মজুত করে তা দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী আসনে পৌঁছানোর অভিযোগ পায় র্যাব। এরপর অভিযান চালিয়ে রাজধানী মতিঝিলের সিটি সেন্টার থেকে কয়েকজনকে আটক করে র্যাব। পরে ২০১৯ সালের ৪ জানুয়ারি হাসপাতাল থেকে মিয়া নূরউদ্দিন আহমেদ অপুকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার এজাহারে আট কোটি টাকা ও ১০ কোটি টাকার বিভিন্ন ব্যাংকের চেক উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে। এ টাকা দিয়ে অপুসহ আসামিরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার ষড়যন্ত্র করছিলেন বলেও অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়।
