টিপ পরায় গালি দেওয়া বাংলাদেশের সংস্কৃতির উপর আঘাত: মানববন্ধনে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ৪, ২০২২, ০১:৪১ এএম

টিপ পরায় গালি দেওয়া বাংলাদেশের সংস্কৃতির উপর আঘাত: মানববন্ধনে বক্তারা

তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তাকারী পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবিতে জাতীয় জাদুঘরের সামনে মানবন্ধন হয়েছে। মানবন্ধনে বক্তারা, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে জড়িতের বিচারে আল্টিমেটাম দেন।  

রোববার (৩ এপ্রিল) বিকেলে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ ব্যানারে আয়োজিত প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারী রবীন আহসান। তিনি বলেন, জড়িত পুলিশ সদস্যকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা না করলে গণবিক্ষোভের আয়োজন করা হবে।

সভাপতির বক্তৃতায় সংগঠক আকরামুল হক বলেন, দাবি মানা না হলে আমরা তেজগাঁও কলেজের সামনে প্রতিবাদী অবস্থান করবো। সেখান থেকে থানায় যাবো। নারী পক্ষের সংগঠক মনীষা মজুমদার বলেন, একজন নারী শিক্ষককে টিপ পরার কারণে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয় এবং তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। তাকে গালি দেওয়া ও হত্যাচেষ্টা বাংলাদেশ আইনে স্পষ্ট অপরাধ। এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

সঙ্গীতশিল্পী শতাব্দী ভব বলেন, ৩০ লাখ মানুষ রক্ত দিয়েছে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য। মেয়েরা টিপ পরলে দোষ, সাইকেল চালালে দোষ। মেয়েরা যা করবে তাই দোষ এ দেশে। সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতা মুক্তা বাড়ৈ বলেন, এটা শুধু টিপ পরার বিষয় নয়। এটা বাংলাদেশের সংস্কৃতি। ধর্মীয় পরিচয়ের বাইরে আমাদের সবার একটি পরিচয় আছে, তা হচ্ছে আমরা বাঙালি। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। 

ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সহ-সভাপতি বিকাশ সাহা বলেন, যেই লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই বাংলাদেশ এখন আর নেই। আমরা ২০২২ সালে এসে দেখতে পাই, একজন শিক্ষক টিপ পরার কারণে অসদাচরণের শিকার হন। ওই পুলিশ সদস্য শুধু অসদাচরণ করেই ক্ষান্ত হননি। সেই নারীকে অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয় এবং পায়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেওয়া হয়।

শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রিন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার পথে হেনস্তার শিকার হন তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দার। তিনি অভিযোগ করেন, হেঁটে কলেজের দিকে যাওয়ার সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী, লম্বা দাড়িওয়ালা একজন- ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই মধ্যবয়সী ব্যক্তির গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল।

 

Link copied!