ডিপো বিস্ফোরণে নিহত স্বজনদের আহাজারি চট্টগ্রাম মেডিকেলে

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ৫, ২০২২, ০২:৫৩ পিএম

ডিপো বিস্ফোরণে নিহত স্বজনদের আহাজারি চট্টগ্রাম মেডিকেলে

স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিবেশ। আহত-নিহতদের স্বজনদের কান্নার রোল হাসপাতালজুড়ে। নিহতদের মধ্যে আছে, কারও বাবা, কারও ছেলে কিংবা কারও স্বামী ও নিকটাত্মীয়। 

হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন নুর উদ্দিন। তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন পাশে থাকা স্বজনরা।  নুর উদ্দিন জানান, তার ভাগিনা মো. হাবিবুর রহমান (২৩) মারা গেছেন সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে। দুর্ঘটনার সময় হাবিব ডিপোতে ছিলেন। পরে তার লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। নুর উদ্দিন বলেন, হাবিবুর রহমান বিএম কনটেইনার ডিপোর ইক্যুইপমেন্ট অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিল। ভোলা সদর থানাধীন বাংলাবাজার এলাকার শিহাব উদ্দিনের ছেলে। আট বছর ধরে ডিপোতে চাকরি করছিল হাবিবুর। 

ছেলেকে হারিয়ে আহাজারি করছেন মোমিনুল হকের অবসরপ্রাপ্ত বাবা ফরিদুল আলম চৌধুরী। মোমিনুল হক বিএম কনটেইনার ডিপোর কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি হাজী মোহাম্মদ মহসীন কলেজের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন। এদিকে, চমেক হাসপাতালের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে আহত ও দগ্ধদের। সেখানেও ছিলো আহতদের স্বজনদের আহাজারি। 

ঘটনার পর এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কজন। নিখোঁজদের সন্ধানে অনেক স্বজন রাত থেকে খোঁজাখুঁজি করছেন চমেক হাসপাতালে। নিখোঁজের স্বজনরা মর্গে গিয়ে নিহতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু স্বজনদের খোঁজ পাননি তারা। জিসান নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার খালাতো ভাই মো. হাসেম (৪৫) বিএম কনটেইনার ডিপোতে গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত। তার বাড়ি সীতাকুণ্ডের কুমিরায়। বিস্ফোরণে আহতদের যেসব হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে সবাই মিলে সেসব হাসপাতালে খোঁজ করেছি। কিন্তু সন্ধান পাইনি।

মো. শহিদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী তৌহিদুল হাসান সুমন ডিপোতে অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিল। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার খোঁজ নেওয়ার জন্য চমেক হাসপাতালে এসেছি। সব লাশ দেখেছি, কোথাও তার লাশ নেই। 

আবদুল মজিদ নামে এক বৃদ্ধা বলেন, আমার ছেলে রবিউল আলম (১৯) শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল। তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা।

নিহতদের মধ্যে তিন জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মোমিনুল হক, মহিউদ্দিন ও হাবিবুর রহমান। বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

Link copied!