দীন মোহাম্মদ চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর চোখ নষ্ট, মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

আগস্ট ১১, ২০২২, ০৭:০৪ এএম

দীন মোহাম্মদ চক্ষু হাসপাতালের ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর চোখ নষ্ট, মামলা

ভুল চিকিৎসায় সিআইপি আমিনুল হক শামীমের মেয়ে মাহজাবীন হক মাশার চোখের রেটিনার ৩৩ ভাগই নষ্ট হয়ে গেছে। এই অভিযোগে ময়মনসিংহ আদালতে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে। বুধবার মাহজাবীন হক মাশার ছোট ভাই বর্তমান এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. সামিউল হক সাফা ময়মনসিংহের অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন।

মামলায় আসামি করা হয়েছে ঢাকার সোবহানবাগ এলাকার দীন মোহাম্মদ চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্স সেন্টারের চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাক্তার দীপক নাগকে।  

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি মডেল থানাকে এফআইআরভুক্ত করার আদেশ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী অ‍্যাডভোকেট এবিএম নুরুজামান খোকন।  

মামলা পরিচালনাকারী অন‍্য আইনজীবীরা হলেন, ময়মনসিংহ জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র অ‍্যাডভোকেট এএইচএম খালেকুজ্জামান এবং পীযুষ কান্তি সরকার।

ভুক্তভোগী মাহজাবীন হক মাশা ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আমিনুল হক শামীমের বড় মেয়ে। আমিনুল হক শামীম বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির একজন প্রভাবশালী পরিবহন নেতা। একই সাথে তিনি ময়মনসিংহ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক। মাশার স্বামী এসএসএফের উচ্চপদস্থ একজন কর্মকর্তা বলে জানা গেছে।  

বাদীর অভিযোগ মতে, গত জুন মাসে চোখে সমস্যা হওয়ায় দীন মোহাম্মদ চক্ষু হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্স সেন্টারে চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর দীপক নাগের কাছে চিকিৎসা নেন মাহজাবীন হক মাশা। ওই সময় ডাক্তার দীপক নাগ তাঁর চোখে লেজার চিকিৎসা করেন। কিন্তু লেজার চিকিৎসার পর চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেন মাহজাবীন। এ অবস্থায় মাহজাবীনকে জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা জানান যে তাঁর চোখের ৩৩ ভাগ রেটিনা চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ডের বামরুন গ্রাদ ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানেও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, ভুল চিকিৎসার কারণে তাঁর চোখের রেটিনার ৩৩ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে।  

বাদী সামিউল হক সাফার ভাষ্য, চোখে অতিরিক্ত লেজার ব্যবহারের কারণে আমার বোনের এত বড় ক্ষতি হয়েছে। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত ন‍্যায় বিচার প্রত‍্যাশা করছি। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কোনো ঘটনা আর না ঘটে, একজন সচেতন মানুষ হিসেবে, এটাই আমার প্রত‍্যাশা।

Link copied!