নগরবাসীর জন্য নববর্ষের উপহার পার্ক ও মাঠ: মেয়র আতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক

এপ্রিল ১৬, ২০২২, ১০:০৩ পিএম

নগরবাসীর জন্য নববর্ষের উপহার পার্ক ও মাঠ: মেয়র আতিক

"নগরবাসীর জন্য ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় নববর্ষের উপহার হিসেবে সাতটি পার্ক ও মাঠ উন্মুক্ত করে দেয়া হলো। এগুলো আপনাদেরই পার্ক। আপনাদেরই এই পার্ক ও মাঠগুলোকে দেখে রাখতে হবে"। শনিবার রাজধানীর শ্যামলী পার্কে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন উন্নয়ন ও সবুজায়ন” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নকৃত সাতটি পার্ক ও মাঠের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। 

সে সময় মেয়র বলেন, "শিশু-কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ সকল বয়সের মানুষ এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষসহ সকলের সুবিধার কথা বিবেচনা করেই এই পার্ক ও মাঠগুলোর নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে। মাঠে রয়েছে শিশুদের ও বড়দের আলাদা খেলার জায়গা, নারীদের বসার সুব্যবস্থা, বসে খেলা উপভোগ করার জন্য রয়েছে গ্যালারি। আমরা এলাকবাসীর সাথে কথা বলে তাদের চাহিদার ভিত্তিতেই এই পার্ক ও মাঠের নকশা প্রণয়ন করেছি।"

মেয়র আরো বলেন, "এই মাঠে কখনো যেন পানি না জমে এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এমনভাবে করা হয়েছে যেখানে ক্রিকেট ও ফুটবল দুটি খেলাই খেলা যাবে। বহুমুখী উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই মাঠের নকশা প্রণয়ন করা হয়েছে।"

ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে হুশিয়ারি দিয়ে আতিক বলেন, "আপনারা জনগণের খাল ও নদী বালু দিয়ে ভরাট করে বেদখল করবেন না। আপনারা নকশা অনুমোদনের সময় যে খেলার মাঠ, পার্ক, কবরস্থান দেখিয়েছেন সেগুলো নগরবাসীকে ফিরিয়ে দিন। সেগুলো ফিরিয়ে না দিলে জনগণের সাথে প্রতারণা করা হবে। এগুলো ফিরিয়ে না দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে"

তিনি আরো বলেন, "আমাদেরকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য খেলার মাঠ, পার্ক, খাল এগুলো উদ্ধার করে দিতেই হবে। তাদের প্রতি এটা আমাদের দায়িত্ব। এগুলো না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রশ্ন করবে আপনারা আমাদের কি দিয়েছেন। মহানগর জরীপ অনুযায়ী ৬০(ষাট) ফিট খালকে ৬(ছয়) ফিট বানিয়ে খালের সীমানা নির্ধারণ করে দখল করা যাবে না। সি এস এবং আর এস অনুযায়ী যেটি বেশি সেই অনুযায়ী খালের সীমানা নির্ধারণ করা হবে।"

নগরবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, "আজ নববর্ষের উপহার হিসেবে যে সাতটি পার্ক ও মাঠ উন্মুক্ত করে দেয়া হলো এগুলো আপনাদেরই দেখে রাখতে হবে, এগুলো আপনাদেরই সম্পদ। এখানে সবুজায়ন করে দেয়া হয়েছে, মাঠ করে দেয়া হয়েছে এবং খেলার সরঞ্জাম দেয়া হয়েছে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কিন্তু আপনাদের নিতে হবে।" 

এসময় তিনি ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের আগামী সাত দিনের মধ্যে এই পার্ক ও মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যাবস্থাপনা কমিটি করার নির্দেশনা প্রদান করেন। বক্তৃতা শেষ করে মেয়র সাতটি পার্ক ও খেলার মাঠের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। সাতটি পার্ক ও খেলার মাঠ হলো: শ্যামলী পার্ক, ইকবাল রোড পার্ক, হুমায়ুন রোড পার্ক, বনানী ব্লক-সি পার্ক, বারিধারা পার্ক, বনানী ব্লক-এফ পার্ক,  রায়ের বাজার বৈশাখী খেলার মাঠ।

উদ্বোধন শেষে মেয়র অতিথিদের সঙ্গে নিয়ে শ্যামলী পার্কে বৃক্ষরোপণ করেন এবং পুরো পার্কটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে পার্কের বিভিন্ন স্থাপনা ও খেলার সরঞ্জামগুলো ঘুরে দেখেন এবং শিশুদের সাথে কথা বলেন ও আনন্দ ভাগাভাগি করেন।

Link copied!