মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা বাণী নিয়ে ভারত থেকে চার নারীর বাংলাদেশে পদযাত্রা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১১, ২০২৩, ০১:১২ এএম

মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা বাণী নিয়ে ভারত থেকে চার নারীর বাংলাদেশে পদযাত্রা

গোটা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিতে মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা ও শান্তির বাণী নিয়ে ভারতের কলকাতা থেকে পায়ে হেঁটে যশোরে এসেছেন চার নারী। 

মহাত্মা গান্ধীর পথকেই পাথেয় করে বিশ্বে শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে ভারতের সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটির (এসএনইউ) সহযোগিতায় গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের আয়োজিত ‘গান্ধী অ্যান্ড ওয়াক’ শীর্ষক এই পদযাত্রা শুরু করছেন ডা. আরজুমন্দ জায়েদি, সদস্য কাশিশ খানম, অনুষ্কা, পার্নোমিতা ডাঙ্গওয়াল। ভারতের এই দলের সাথে নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমের দুইজন সহযোগী প্রতিনিধিও রয়েছেন।  

গত ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বেলেঘাটার গান্ধী ভবন থেকে পদযাত্রা শুরু করে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যশোরে পৌঁছান তাঁরা। যশোর সার্কিট হাউজে বিশ্রাম নিয়ে দলটি নড়াইলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। এর পর লোহাগড়া-ফরিদপুর-ভাঙ্গা-মাওয়া হয়ে ঢাকায় পৌঁছাবেন। 

 ৯টি জেলা পায়ে হেঁটে আগামী ১৬ মার্চ নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমে স্থানীয় সুধী সমাবেশের মাধ্যমে এই যাত্রা শেষ হবে।

এই পদযাত্রার টিম লিডার ডা. আরজুমন্দ জায়েদি জানান, মহাত্মা গান্ধীর চিন্তাভাবনা আমাদের গোটা বিশ্বকেই উজ্জীবিত করে। তাঁর শান্তির বাণী আজ সারা বিশ্বেই আদৃত। আমাদের এই পদযাত্রা শান্তির জন্য। এর উদ্দেশ্য, গোটা বিশ্বে শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া। 

আগামী দিনে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই শান্তি যাত্রার পরিকল্পনা আছে বলে তিনি জানান। 

নোয়াখালীর গান্ধী আশ্রমের শান্তিকর্মী খাইরুজ্জামান খোকন বলেন, ব্রিটিশ শাসনামলের শেষের দিকে ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থানের মতো নোয়াখালীতেও হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। সেই দুঃসময়ে শান্তি মিশন নিয়ে নোয়াখালী ছুটে আসেন মহাত্মা গান্ধী। 

১৯৪৬ সালের ৭ নভেম্বর থেকে ১৯৪৭ সালের ২ মার্চ পর্যন্ত নোয়াখালী অবস্থানকালে তিনি গ্রামে গ্রামে ঘুরে দাঙ্গায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন, হিন্দু-মুসলিম ভ্রাতৃত্ব স্থাপনসহ সেবামূলক বিভিন্ন কাজে হাত দেন। 

মহাত্মা গান্ধী আমৃত্যু মানুষের মধ্যে শান্তি ও অহিংসার বাণী প্রচার করে গেছেন। তার অহিংসা ও শান্তির বাণী ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন। এই যাত্রা আগামী ১৬ তারিখ নোয়াখালী গান্ধী আশ্রমে শেষ হবে। এর মাঝে এই দল ৯টা জেলায় পায়ে হেঁটে মানুষের কাছে শান্তির বার্তা পৌঁছে দেবেন।

Link copied!