মাছ মাংস না খেলেও ৪ জনের একটি পরিবারের ব্যয় ১০ হাজার টাকা: সিপিডি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ২১, ২০২২, ০৫:১১ এএম

মাছ মাংস না খেলেও ৪ জনের একটি পরিবারের ব্যয় ১০ হাজার টাকা: সিপিডি

বাংলাদেশের বেশিরভাগ পণ্য ও পরিষেবার মূল্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর গড় মূল্যের চেয়ে বেশি বলে  জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ(সিপিডি)। বর্তমানে মাছ মাংস না খেলেও চারজনের একটি পরিবারের প্রায় ১০ হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে বলেও জানায় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাংলাদেশে আধা কেজি পাউরুটির দাম ৬২ টাকা, যা দক্ষিণ এশিয়ায় সর্বোচ্চ।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে ‘বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার আভাস ও বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ উত্তরণ কোন পথে?’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সিপিডি’র সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্ব মহামন্দায় বাংলাদেশকে সাতটি সংকটের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সংকটগুলো হচ্ছে- ডলার, জ্বালানি, খাদ্য, মূল্যস্ফীতি, ইউক্রেন, করোনাভাইরাস এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সংকট।  

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, ”এসব সংকটের মধ্যে ডলার,জ্বালানি, খাদ্য ও মূল্যস্ফীতি সংকটের কারণে অন্যান্য সংকটগুলো আরও ঘনীভূত হচ্ছে। সার্বিকভাবে এই সাতটি সংকট আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বগতিতে রয়েছে উল্লেখ করে সিপিডি’র নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, “বিভিন্ন দেশে প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক দিকে রয়েছে। আমরাও সেই প্রভাব অনুভব করছি। আন্তর্জাতিক পণ্যের পাশাপাশি দেশে উৎপাদিত পণ্যেরও দাম বেশি। ফলে খাদ্য সংকটেরও আভাস পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) পৃথিবীর ৪৫টি দেশে খাদ্য সংকটের আশঙ্কা করছে। এই তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।” 

সিপিডি’র গবেষণার সূত্র ধরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানীতে চার সদস্যের একটি পরিবারের অত্যাবশ্যকীয় সব খাদ্যসহ সার্বিক খরচ ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে ছিল ১৭ হাজার ৫৩০ টাকা, যা ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবরে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৪২১ টাকা। অপরদিকে মাছ ও মাংস বাদ দিয়ে কম্প্রোমাইজ ডায়েট হিসেবে চার সদস্যের পরিবারের ন্যূনতম খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৫৯ টাকা। যা ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি ছিল ৬ হাজার ৫৪১ টাকা।

অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ওপর আমদানি শুল্কের হার কমাতে পারলে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ কমে আসতো বলে গবেষণায় উঠে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!