যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১২, ২০২১, ১০:৫২ পিএম

যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

২০১৬ সালে রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন এলাকায় দুই লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় স্বামী কৃষান দাসের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক সামছুন্নাহার এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে আরো এক লাখ টাকার অর্থদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আজগর স্বপন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রায় ঘোষণার সময় কারাগার থেকে আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালে রাজধানীর হাজারীবাগ থানাধীন এলাকায় নিহত রাম দুলারীর সঙ্গে আসামি কৃষান দাসের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় প্রায় ৭ লাখ টাকা যৌতুক দেন ভিকটিমের পরিবার। কিন্তু বিয়ের ‍কিছুদিন পর থেকে আসামি ও তাদের আত্মীয়স্বজন বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে রাম দুলারীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এর কিছুদিন আগে ঘরে ওঠনোর জন্য যৌতুক বাবদ রাম দুলারীর কাছে আরও দুই লাখ দাবি করে আসামি। রাম দুলারী বিষয়টি তার ভাই কৃঞ্চা দাসকে জানালে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা আসামিদের হাতে তুলে দেয়। কিন্তু এতে আসামিরা ক্ষ্যান্ত হয়নি।

এজাহারে আরও বলা হয়, ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আবারও যৌতুকের দাবিতে আসামি রাম দুলারীকে মারধর করে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ওই বছরের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভিকটিমের মা অনেক বুঝিয়ে আবার আসামির বাড়িতে দিয়ে আসে। পরের দিন রাত ৩টার সময় কৃষানের মামা জিতেন দাস ফোন দিয়ে জানায় রাম দুলারী মারা গেছে। এরপর ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে বাদী তার বোনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এই ঘটনায় কৃঞ্চা দাস তার বোনের স্বামী ও শ্বশুরের বিরুদ্ধে হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা করেন।

২০১৬ সালের ২৭ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওমর ফারুক খান দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটভুক্ত অপর আসামি হলেন, লাল্লু দাস। তবে তিনি এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। একই বছরের ১ ডিসেম্বর মামলাটির চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।

Link copied!