রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে সরাসরি কক্সবাজারে তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

জানুয়ারি ৮, ২০২২, ০৪:৩৬ পিএম

রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনে সরাসরি কক্সবাজারে তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া লাখো রোহিঙ্গাদের খোঁজ খবর নিতে আঙ্কারা থেকে সরাসরি কক্সবাজারে পৌঁছেছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লু। সেখান  থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান তিনি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে,  তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে শনিবার সকাল ৮টায় বিশেষ বিমানে করে তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে সরাসরি কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছান। বিমান বন্দরে এসময় তাকে অভ্যর্থনা জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। সেখান থেকে সোলাইমান সয়লু কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে সফরে আসা ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তুরস্ক সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা পরিচালিত ফিল্ড হাসপাতালসহ নানান কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে দুপুরে ঢাকা হয়ে রাতেই তুরস্কে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জাম খান কামালের আমন্ত্রণে  একদিনের সংক্ষিপ্ত সফরে বাংলাদেশ এসেছেন তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সোলাইমান সয়লু। সফরকালে তিনি  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।

স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়,উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ফিরে দুপুরেই বিশেষ বিমানযোগে কক্সবাজার  থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। সফরসূচি অনুযায়ী, ঢাকায় ফিরে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিকেলে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমানের সঙ্গে রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠক করবেন। বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা হবে। এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তিনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, দুই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকের পর দুই দেশের পুলিশ বাহিনীর মধ্যে নিরাপত্তা ও সন্ত্রাস দমনে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে,পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ সফর। সফরে রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা হবে। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তুরস্ক আরও কীভাবে যুক্ত হতে পারে এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তুরস্কের ভূমিকার বিষয়টি আলোচনায় স্থান পেতে পারে বলে জানা গেছে।

Link copied!