শেয়ারবাজারে বেশি বিনিয়োগ, বাণিজ্যিক ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছাড়

নিজস্ব প্রতিবেদক

ডিসেম্বর ২০, ২০২২, ০৬:৩২ পিএম

শেয়ারবাজারে বেশি বিনিয়োগ, বাণিজ্যিক ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ছাড়

পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর অতিরিক্ত বিনিয়োগ থাকলে তা সমন্বয়ের সুযোগ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক।

শেয়ারের ক্রয়মূল্য ধরে এক্সপোজার লিমিট নির্ধারণের পর যেসব ব্যাংকের বেশি বিনিয়োগ আছে, সেটা সমন্বয় করতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবে প্রতিষ্ঠানগুলো।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আইন অনুযায়ী কোনো ব্যাংক তার রেগুলেটরি ক্যাপিটাল বা নিয়ন্ত্রণমূলক মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত পুজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে।

শেয়ারবাজার–সংশ্লিষ্টরা জানান, শেয়ারবাজারে বেশ কিছুদিন ধরে মন্দাভাব চলছে। তাতে তালিকাভুক্ত বেশির ভাগ শেয়ারের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে নেমে এসেছে। ফলে অনেক কোম্পানির লেনদেন বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বাজারে বড় ধরনের ক্রেতাসংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শেয়ার বিক্রি করলে বাজারে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আবার ক্রেতা না থাকায় চাইলেও অধিক পরিমাণ শেয়ার বিক্রির সুযোগ নেই। এ কারণে পুঁজিবাজারের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক সীমার অতিরিক্ত শেয়ার সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। বিদ্যমান নিয়মে কোনো ব্যাংক তার পরিশোধিত মূলধন, শেয়ার প্রিমিয়াম হিসেবে রক্ষিত স্থিতি, সংবিধিবদ্ধ সঞ্চিতি ও পুঞ্জীভূত মুনাফার সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে।

এ বিনিয়োগ হিসাবের ক্ষেত্রে নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মাধ্যমে বিনিয়োগের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য গঠিত প্রতিষ্ঠানের ঋণও বিবেচনায় নেয়া হয়।

চলতি বছরের ৪ আগস্ট শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে বাজারমূল্য ধরে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা নির্ধারণ করার নির্দেশনা দিয়ে সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সোমবার জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, ‘পুঁজিবাজারে ব্যাংকের এক্সপোজার লিমিট নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ৪ আগস্ট সার্কুলার জারির পর ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ধারা ২৬ক এর উপধারা (১) অনুযায়ী শেয়ারবাজারে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত যেসব ব্যাংকের সীমাতিরিক্ত বিনিয়োগ (ব্যাংক কর্তৃক অন্যান্য কোম্পানির শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে সামষ্টিক বা এককভাবে কোনো কোম্পানির শেয়ার ধারণের ক্ষেত্রে) রয়েছে, সেসব ব্যাংকের সীমাতিরিক্ত বিনিয়োগ নির্ধারিত সীমায় নামিয়ে আনার জন্য ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

Link copied!