সংস্কৃতি চর্চা বাড়ানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২, ১০:২১ পিএম

সংস্কৃতি চর্চা বাড়ানোর তাগিদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার

উন্নত মানুষিকতার নাগরিক গড়ে তুলতে সংস্কৃতি চর্চা বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় ভাষা শহীদদের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারী বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠায় যারা প্রাণ দিয়েছেন সেই সকল শহীদদের অবদানের কথা বাঙ্গালী চিরদিন মনে রাখবে।

ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান মুছে ফেলতে চেষ্টা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু ভাষা আন্দোলন করতেই কারাগারে ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী থেকেও অনেক তথ্য পাওয়া যায়। বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বইমেলায় বাংলাদেশের সংস্কৃতিকর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিলো।

করোনা ও ওমিক্রণের কারণে বইমেলা শুরু করতে এবার একটু দেরি হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। নিজেদের সুরক্ষায় করোনার টিকা নেওয়ার পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া তরুণ প্রজন্মকে নিজেদের ভাষা শেখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ভাষা শিখতেও আহবান জানিয়েছেন শেখ হাসিনা। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে বইমেলা ১ মাস অব্দি হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

সামাজিক অবক্ষয় রোধে সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্বের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী, উন্নত সংস্কৃতি চর্চার মধ্য দিয়ে উন্নত মানুষিকতার নাগরিক গড়ে তোলার আহবান জানান।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, বইমেলা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। বই না পড়লে মনে হয়, অনেক কিছুই হয়নি। প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমাদের শিখতে হবে। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য এই মেলাকে অন্যমাত্রা দিয়ে গেছে। এবারের বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য- ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “রোমান ও আরবি হরফে বাংলা লেখার প্রচলন করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। এমনকি রবীন্দ্রচর্চা নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু বাংলাকে নিয়ে গেছিলেন। কানাডা প্রবাসী রফিক ও সালাম বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে বাংলা ভাষাকে জাতিসংঘে নিয়ে যান। কিন্তু কোনো সদস্য রাষ্ট্র প্রস্তাব না দিলে তা নেওয়া সম্ভব হয় না। তাই আমরা সঙ্গে সঙ্গে এ বিষয়ে কাজ শুরু করি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “১৫ তারিখে বইমেলা শুরু হয়েছে। তবে আমার ইচ্ছা এই মেলা ১৭ মার্চ পর্যন্ত চালানো। আশা করছি সবাই স্বাস্থ্য-সুরক্ষা মেনে বইমেলায় আসবেন। 

Link copied!