সাগরকন্যাকে দেখতে পর্যটকদের ভিড়, ফাঁকা কক্সবাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ১৩, ২০২২, ০৬:৪৪ পিএম

সাগরকন্যাকে দেখতে পর্যটকদের  ভিড়, ফাঁকা কক্সবাজার

ঈদের ছুটিতে ফেরিবিহীন ভ্রমণে ঢাকা থেকে কুয়াকাটা সৈকতে এবার পর্যটকের বান ডেকেছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু দর্শন এবং কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অবলোকন এক ছুটিতেই সেরে ফেলতে বেরিয়েছেন অনেকে। মঙ্গলবারও দর্শনার্থীতে ঠাসা ছিল কুয়াকাটা। তবে কক্সবাজারে দেখা গেছে ব্যতিক্রমী চিত্র। এবার ঈদে কক্সবাজারে পর্যটকদের ভিড় নেই। ফাঁকা পড়ে আছে অনেক হোটেল, রিসোর্ট।

পর্যটনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এখন দেশীয় পর্যটনের মৌসুম নয়। তারপরও ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ঘুরতে গেছেন দর্শনার্থীরা। পদ্মা সেতুর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে; বিশেষ করে কুয়াকাটায়।

ঈদের দিন বিকাল থেকে মঙ্গলবার সকালে কুয়াকাটা সৈকতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনন্দ উচ্ছ¡াস ছিল চোখে পড়ার মতো। উত্তাল সমুদ্রে নেচেগেয়ে সমুদ্রে মাতোয়ারা হওয়ার দৃশ্য লক্ষণীয়। সৈকতের প্রবেশ মুখে, ফয়েজ মিয়ার নারিকেল বাগান, ঝাউবনসহ গোটা সৈকতের সর্বত্রই পর্যটকদের চাপ সামাল দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশকে হিমশিম খেতে দেখা যায়। পর্যটকবাহী বাস, হোটেল-মোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে জেলা প্রশাসনসহ ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের মনিটরিং ছিল। পর্যটকদের নিরাপত্তা ও খাবারের মান নিশ্চিতে তারা একযোগে কাজ করছেন।

কুয়াকাটা জোনের টুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে টুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সৈকতের বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানে ইউনিফর্ম পরে এবং সাদা পোশাকে টহল দিচ্ছেন আমাদের সদস্যরা। তাঁরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছেন।’

কুয়াকাটা জোনের টুরিস্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. হাচনাইন পারভেজ বলেন, “পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে টুরিস্ট পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সৈকতের বিভিন্ন আকর্ষণীয় স্থানে ইউনিফর্ম পরে এবং সাদা পোশাকে টহল দিচ্ছেন আমাদের সদস্যরা। তাঁরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় ২৪ ঘণ্টা প্রস্তুত রয়েছেন।”

কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা আশানুরূপ নয় বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ। তিনি বলেন, “ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের হোটেলগুলোর ৫০ ভাগ রুম বুকিং হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ঈদে পর্যটকের ভিড় বেশি থাকে। এবার কক্সবাজারে পর্যটক কম হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও উত্তরাঞ্চলের বন্যা।”

Link copied!