সিগারেটের লাইটার নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩৫

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৪, ২০২২, ০২:৪৩ এএম

সিগারেটের লাইটার নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ৩৫

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় সিগারেট জ্বালানোর জন্য লাইটার চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই তরুণের হাতাহাতির জেরে গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দেড় ঘণ্টা ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩৫ জন আহত হন। মাইকে ঘোষণা দিয়ে এ সংঘর্ষ ঘটেছে বলে জানা গেছে।

বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া গ্রামে শুরু হওয়া সংঘর্ষ প্রথমে গ্রামবাসীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে তাদের একাংশের সঙ্গে যুক্ত হয় পাশের গ্রাম চৌকিঘাটার লোকজন। ঢাকা ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।

এ সময় তিনটি বাড়ি এবং দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। উত্তেজনা থামাতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঘারুয়া ইউনিয়নের ঘারুয়া ও চৌকিঘাটা গ্রামের দুটি পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে ঘারুয়া গ্রামের সজিব মাতুব্বরের (১৮) সঙ্গে একই গ্রামের ইমন মাতুব্বরের (১৯) হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সজিবের বাবা রমজান মাতুব্বর ছেলের পক্ষ নিয়ে ইমনকে মারধর করেন।

বিষয়টি নিয়ে সালিশ বৈঠকে বসে মিমাংসার সিদ্ধান্ত নেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। কিন্তু বুধবার সকাল ৯টার দিকে দুই পক্ষের শত শত লোকজন ঘারুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জড়ো হয়ে দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ঘারুয়া বাজারের পাশের মাজেদ ফকির, কাদের মুন্সী ও সৈয়দ আলী মুন্সীর বাড়ি এবং বাজারের ওবায়দুর মোল্লা, ফরহাদ মিয়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর চালানো হয়।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং ঘারুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সফি উদ্দিন মোল্লা বলেন, “তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও সবাই না মানার কারণে ঘটনাটি সংঘর্ষে রূপ নেয়।”

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনসুর আলী মুনশী বলেন, “সিগারেটের লাইটার চাওয়াকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মাইকে ডেকে লোক জড়ো করা হয়।”

ভাঙ্গা থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই)  মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে।  সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

Link copied!