হতাহত সংঘর্ষ পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় শেষ পৌর ভোট

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১, ১০:৩৪ পিএম

হতাহত সংঘর্ষ পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় শেষ পৌর ভোট

বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, হামলা, পাল্টা-পাল্টি ধাওয়া ও হতাহতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে  চতুর্থ ধাপে ৫৫টি পৗরসভার নির্বাচন। তবে ভোটগ্রহণ চলাকালে বেশ কয়েকটি পৌরসভায় ভোট বর্জন, এজেন্টকে ঢুকতে না দেয়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। চট্টগ্রামের পটিয়ায় দুই  কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে। 

এর আগে, সকাল ৮টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ। চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে ৫৫ পৌরসভার ৩০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)  এবং অন্য পৌরসভাগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়েছে। তবে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভায় সহিংসতার কারণ দেখিয়ে গত বৃহস্পতিবার নির্বাচন স্থগিত করে কমিশন। 

৫৫ পৌরসভায় মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন ২২৩ জন। এছাড়া ৫১০টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন দুই হাজার ৯৯ জন এবং ১৭০ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ৬২৯ জন। পৌরসভাগুলোর ৮০২টি ভোটকেন্দ্রে বুথ সংখ্যা চার হাজার ৯২৭টি। পৌরসভাগুলোর মোট ভোটার ১৭ লাখ ৬ ২৪ জন। 

পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি  রাজনৈতিক দল। পাশাপাশি বেশকিছু স্বতন্ত্র প্রার্থীও মেয়র পদে লড়েছেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই পৌরসভা  নির্বাচন  সফল করতে সব ধরণের  প্রস্তুতি  নেয়। করোনাকালে এ নির্বাচনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনাও দেয় ইসি।

নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষভঅবে সম্পন্ন করতে ৫০১ জন নির্বাহী ও ৫৫ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে ছিলেন বেল ইসি সূত্র জানায়। পুলিশের ১৬৭টি মোবাইল ও ৫৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স টিম,  র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ১৬৭টি টিম, প্রত্যেক পৌরসভায় গড়ে দুই প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)  ও উপকূলীয় এলাকায় প্রতি পৌরসভায় এক প্লাটুন কোস্টগার্ড মোতায়েন করা হয়।

প্রথম ধাপের তফসিলের ২৪টি পৌরসভায় ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হয় ২৮ ডিসেম্বর।  দ্বিতীয় ধাপের ভোট হয় ১৬ জানুয়ারি। তৃতীয় ধাপে ৬৩টি পৌরসভায় ভোট হয় ৩০ জানুয়ারি। চতুর্থ ধাপে ৫৭ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও দুটি পৌরসভা নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। আর ৫ম ধাপে ভোটগ্রহণ হবে চলতি মাসের শেষ দিনে।

যেসব পৌরসভায় ভোট হয়েছে

ঠাকুরগাঁও সদর ও রাণীশংকৈল; রাজশাহীর নওহাটা, গোদাগাড়ী ও তাহেরপুর; লালমনিরহাট সদর ও পাটগ্রাম, নরসিংদী সদর ও মাধবদী, রাজবাড়ী সদর ও গোয়ালন্দ, বরিশালের মুলাদী ও বানারীপাড়া, শেরপুর সদর ও শীবরদী; চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, নাটোর সদর ও বড়াইগ্রাম, খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা, বান্দরবান সদর, বাগেরহাট সদর; সাতক্ষীরা সদর। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট; কুমিল্লার হোমনা ও দাউদকান্দি, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও পটিয়া, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, হোসেনপুর ও করিমগঞ্জ, টাঙ্গাইলের গোপালপুর ও কালিহাতী, পটুয়াখালীর কলাপাড়া, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও আলমডাঙ্গা, ফেনীর পরশুরাম, চাঁদপুরের কচুয়া ও ফরিদগঞ্জ, নেত্রকোনা সদর, যশোরের চৌগাছা ও বাঘারপাড়া, রাঙ্গামাটি সদর, মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিম, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, জামালপুরের মেলান্দহ, ময়মনসিংহের ফুলপুর, জয়পুরহাটের আক্কেলপুর ও কালাই, নোয়াখালীর চাটখিল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, লক্ষ্মীপুরের রামগতি, ফরিদপুরের নগরকান্দা এবং সিলেটের কানাইঘাট পৌরসভায়।

Link copied!